রাঙামাটিতে মোটরবাইক চুরিতে জড়িত একটি শক্তিশালী চোরচক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি করা পাঁচটি মোটরবাইকসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে এসব মোটরবাইক ও সরঞ্জামসহ চোরচক্রের সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয় রাঙামাটির কোতয়ালি থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে কোতয়ালি থানায় আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত কয়েক মাসে রাঙামাটি শহর থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন ছিল শহরবাসীসহ পুলিশ। শেষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওইসব মোটরসাইকেল চোরচক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। কয়েক দিনের প্রচেষ্টার পর রোববার রাতে রাঙামাটি শহর এবং চট্টগ্রামের রাউজানে অভিযান চালিয়ে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেল খোলা, মেরামত, নাম্বার প্লেট পরিবর্তনসহ চুরির কাজে ব্যবহার করা বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধারসহ চোরচক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা সবাই রাঙামাটি শহরের বাসিন্দা। সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা মোটরসাইকেল, চুরির কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন সরঞ্জামসহ আটকদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে পুলিশ।এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) মো. শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। আটকদের নাম উল্লেখসহ তিনি জানান, পুলিশের বিশেষ টিম পরিচালিত অভিযানে মোটরসাইকেল চোরচক্রের সঙ্গে জড়িত শহরের কর্মচারী কলোনির মো. আবুল ফজল (৩৮), কল্যাণপুরের সুমন চাকমা (২৪), ডিসিবাংলো এলাকার আলা উদ্দিন (৩৬), চট্টগ্রাম বাঁশখালীর এরশাদ (২৯), পৌর এলাকার তারেক শাওন আমান (২৭), মহসিন কলোনির আবদুল মাবুদ (২৯), গর্জনতলীর অংচিমং মারমা (২৫), গর্জনতলীর নিপন ত্রিপুরা (২৬), রির্জাভ বাজারের মো. মনছুর (২৮), কলেজগেট এলাকার রবিউল হাসান রাকিব (২৩) ও এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকার মো. হুমায়ুন কবিরকে (২৯) আটক করা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত কয়েক মাস ধরে রাঙামাটি শহরে মোটরসাইকেল চুরির সূত্র ধরে প্রথমে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাঙামাটি শহরসহ বাইরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোরচক্রের ১১ সদস্যকে আটক করা হয়। সুশীল চাকমা/ এমএএস/পিআর
Advertisement