জাতীয়

শিশু বায়োজিদকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

মাগুরায় বিরল রোগে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু বায়েজিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ গঠিত ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।গত ২৪ মে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ওয়েবপোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন দেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উদ্যোগী হয়ে বায়োজিদকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।পরে সিভিল সার্জন ডা. এফবিএম আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে মেডিসিন, কার্ডিয়াক ও শিশু কনসালটেন্ট ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, দেবাশিষ বিশ্বাস, রোকনুজ্জামান, জয়ন্ত কুন্ডুর সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বায়োজিদের বিরল রোগ সম্পর্কে দীর্ঘ সময় পর্যালোচনা করেন। এক পর্যায়ে তার উন্নত চিকিৎসা ও বিরল এ রোগ সর্ম্পকে ব্যাপক গবেষণা প্রয়োজন মনে করে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠনোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. এফবিএম আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে জানান, সোমবার চিকিৎসকদের এ সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে বায়োজিদের পরিবার। ফলে চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল লতিফ। মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও বিএমএ মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, নানা ধরনের জেনেটিক সমস্যায় এমন হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে প্রোজিরিয়া বলে। এটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় ঘটনা।এ পর্যন্ত বিরল এ রোগের কোনো চিকিৎসা বের হয়নি। তবে বয়স্ক মানুষের ভাষকুলার সমস্যার জন্য যে ধরনের চিকিৎসা বা ওষুধ দেয়া হয় এ ধরনের রোগীদের সুস্থ রাখার জন্য একই ধরনের ওষুধ দেয়া যেতে পারে। তবে এ ধরনের বাচ্চারা ১২ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে।  উল্লেখ্য, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের কৃষক পরিবারের লাভলু শিকদার ও স্ত্রী তৃপ্তি খাতুনের একমাত্র সন্তান বায়েজিদ ৪ বছর আগে বিকৃত চেহারা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হলে সবাই তাকে দেখে ভয় পেত। তবে সন্তানের মায়ায় বাবা-মা বায়োজিদকে পরম আদরে লালন পালন করতে থাকেন। দিনে দিনে শরীরে বার্ধক্যের ছাপ আরো প্রকট হতে থাকে। মাত্র ৪ বছর বয়সে শিশু বায়েজিদ ৭০/৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধের চেহারা নিয়ে বেড়ে উঠছে। আরাফাত হোসেন/এসএস/এমএস

Advertisement