টস জিতেও সানরাইজার্স হায়দারাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ব্যাটিং নিয়েছিলেন বোলারদের ওপর আস্থা রেখে। ২০৯ রানের টার্গেট বেধে দেয়ার পর চ্যাম্পিয়নশিপটাও যেন নিজেদের করে নিয়েছিল মুস্তাফিজরা। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরাও জবাব দিয়েছিল বেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বোলারদের নৈপুন্যেই আইপিএল নবম আসরের শিরোপা জিতে নিল মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।সানরাইজার্স হায়দারাবাদের দেয়া ২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি আর ক্রিস গেইলের দুর্দর্ষ ওপেনিং জুটির পরও ৮ রানের ব্যবধানে হেরে যেতে হলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে। মাত্র ১০.৩ ওভারেই ১১৪ রানের বিশাল জুটি গড়ে ফেলেছিলেন কোহলি-গেইল। সে জায়গা থেকে বোলাররাই জয়ের পথে ফিরিয়েছে সানরাইজার্সকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তুললো বিরাট কোহলির দল।ম্যাচ শুরুর আগেও বেশ শঙ্কা ছিল মুস্তাফিজ খেলতে পারবেন কি না। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিকই ফিট হয়ে মাঠে ফিরলেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারেই দিলেন মাত্র ৪ রান। অথচ ওই সময় গেইল-কোহলির ধুন্দুমার ব্যাটিং চলছিল। সানরাইজার্সের বোলারদের কোন পাত্তাই দিচ্ছিল না তারা দু’জন।অবশেষে সানরাইজার্সের ত্রানকর্তা হয়ে এলেন বেন কাটিং। ব্যাট হাতে যেমন শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলে সানরাইজার্সের রান পার করে দিয়েছিলেন দুইশ’র বেশি। বল হাতে এসেই তুলে নিলেন ক্রিস গেইলের উইকেট। ৩৮ বলে ৭৬ রান করে আউট হন গেইল। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৮টি ছক্কার মার।এরপর বাকি ছিল বিরাট কোহলির উইকেট। তাকে বোল্ড করে ফেরালেন বারিন্দার ¯্রান। ৩৫ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ২ টি ছক্কার মার। বাকি ছিলেন আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের উইকেট। বিপুল শর্র্মার বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেন তিনিও।শেন ওয়াটসন চোখ রাঙ্গানি দিয়েছিলেন কিছুটা। তবে তাকে দারুন এক ¯েøায়ারে তুলে নিলেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই বিস্ময় পেসার পেতে পারতেন আরও উইকেট। একটি ক্যাচ মিস হয়েছিল, আরও কয়েকটি ভালো বলে উইকেট পেলেন না তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত দিয়েছিলেন ৩৭ রান।শচিন বেবি ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ রান করে করেন ওয়াটসন এবং লোকেশ রাহুল। বেন কাটিং ২ উইকেট নেন। ৩৯ রানের সঙ্গে ২ উইকেট নিয়ে তিনিই হলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়, ম্যান অব দ্য ফাইনাল।
Advertisement
আইএইচএস/এনএফ