হুয়ানফ্রানের শট সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসার পরপরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদই জিততে যাচ্ছে ১১তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। এরপর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এসে যখন তার শটটি অ্যাটলেটিকোর জালে জড়িয়ে দিলেন, সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো সানসিরো।রিয়ালের হয়ে প্রথম শটটি নিতে আসেন বেনজেমার পরিবর্তে মাঠে নামা স্ট্রাইকার লুকাস ভাসকুয়েজ। দ্বিতীয় শট নেন মার্সেলো। তৃতীয় শট নিতে আসেন গ্যারেথ বেল। চতুর্থ শট সার্জিও রামোস।রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরা ভেবেছিল প্রথম শটটি হয়তো নেবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো; কিন্তু চারটি শট হয়ে গেছে, তখনও আসেননি সিআর সেভেন। সবাই ভাবতে বাধ্য হয়েছিল, তবে কী আর স্পট কিক নেবেন না রিয়াল তারাকা।তবে, অ্যাটলেটিকোর হুয়ানফ্রান যখন শট মিস করলেন, তখনই দেখা গেলো রিয়ালের শেষ শট নিতে এগিয়ে আসছেন রোনালদো। এ সময় চাপটা অনেক বেশি। কারণ শট কোনভাবে মিস করলেই শেষ। তবে, না, রোনালদো তো আর এসব চাপে ভেঙে পড়ার মত খেলোয়াড় নন। চাপ নেয়ার মানসিকতা তার অনেক বেশি। মোটের ওপর বিগ ম্যাচ ফুটবলার তিনি।ফাইনাল শেষে শেষ স্পট কিক নেয়ার রহস্যটা নিজেই জানালেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘আমার নিজেরই একটা ভিশন ছিল, উইনিং শটনি নেয়ার। কোচ জিদানকে বলেছিলামও। তার সঙ্গে পরামর্শ করেই শেষ শটটি নিতে আসি আমি।’কোচ জিদানের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘আমার ভিশন নিয়ে আহেই আলাপ করেছিলাম। যে কারণে আমি জানতাম, উইনিং শটটা আমিই নেবো। জিজুকে আমিই অনুরোধ করেছিলাম, উইনিং শটটি নেয়ার জন্য। তিনি নিজেও রাজি হয়ে গেলেন আমার কথা শুনে।’কোচ জিদানের প্রশংসা করে রোনালদো বলেন, ‘জিদান সত্যিই চমৎকার একজন কোচ। তিনি দুর্দান্ত এক কাজ করেছেন। তারই জয় করা উচিৎ ছিল এই শিরোপা। তার মধ্যে মানবিকতা অনেক বেশি এবং তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে সত্যিই আমি আনন্দিত।’
Advertisement
আইএইচএস/এনএফ