খেলাধুলা

ব্যাটসম্যান কোহলির অনুপ্রেরণায় অধিনায়ক কোহলি

একজন ব্যাটসম্যান কত প্রশংসা পেতে পারেন? হয়ত এ যাবতকাল পর্যন্ত যত প্রশংসা পেয়েছেন তার থেকেও বেশি পেয়েছেন শুধু এবারের আইপিএল খেলে। আইপিএলের মত মঞ্চে এই মৌসুমে ৪টি সেঞ্চুরি! এক হাজার রান থেকে মাত্র ৮১ রান দূরে। স্রেফ কল্পনাকেও সত্যি করে দিলেন ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কিন্তু ব্যাটে রানের ফোয়ারা থাকলেও ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে কোহলির ফাইনাল ভাগ্য যে অতটা সুপ্রসন্ন নয় সেটা স্বয়ং কোহলিও জানেন।  ২০০৯ সালে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ডেকান চার্জার্সের বিপক্ষে আইপিএলের ফাইনাল খেলেছিলেন কোহলি। সে ম্যাচে মাত্র ৭ রান করেছিলেন। তার দু বছর পর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফাইনালে ৩৫ রান করলেও দলকে জেতাতে পারেননি আইপিএল শিরোপা। কিন্তু সেই কোহলির সাথে বর্তমান কোহলির বিস্তর তফাৎ।রোববার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পাশাপাশি সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ডি ভিলিয়ার্সের মত জিনিয়াস ব্যাটসম্যানদের সাথেও হবে তার মনস্তাত্ত্বিক লড়াই। কিন্তু ব্যাটসম্যান কোহলির থেকে অধিনায়ক কোহলির দিকেই নজর থাকবে সবার। প্রথম সাত ম্যাচের মাত্র দুইটিতে জিতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। সেখান থেকে কোহলির অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ ফাইনালের মঞ্চে তিনি। ফাইনালের ভেন্যু চেন্নাশামী স্টেডিয়ামের দর্শক এবং মাঠ সবকিছুই যেন কোহলির কথা বলে। কিন্তু পারবেন কি দলকে ফাইনালে জেতাতে? ব্যাটসম্যান কোহলির থেকেও যেন অধিনায়ক কোহলির কাঁধে দায়িত্বের ভারটা একটু বেশি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাকে যখন টেস্ট দলের অধিনায়ক দেয়া হয় অনেকে ভারতের ক্রিকেটের সমালোচনায় লিপ্ত ছিলেন।  কিন্তু আইপিএলের এই মহাযজ্ঞে দলকে খুশি করার পাশাপাশি দলের মালিককে খুশি করার সুপ্ত বাসনা নিয়ে নামতে হয় অধিনায়ককে। গুজরাটের বিপক্ষে ব্যাট হাতে শূন্য রান করেও দল জিতেছিল ডি ভিলিয়ার্সের কল্যাণে। ফাইনালেও যদি রানবিহীন থাকেন কোহলি তাহলে নিশ্চিত করেই বিপদে পড়তে যাচ্ছে তার। কেননা টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং বিভাগের বিপক্ষে খেলতে নামতে হচ্ছে ব্যাঙ্গালুরুকে।আরআর/আরআইপি

Advertisement