খেলাধুলা

মোহামেডানকে হারিয়ে সিসিএসের চমক

বড় এক ধাক্কা খেলো রান রেটে শীর্ষে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) কাছে তারা হেরে গেছে তারা। দারুণ চমক দেখিয়ে বৃষ্টি আইনে ৩১ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় সিসিএস। মূলত সালমান হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্য ও মেহরাব হোসেনের বোলিং তোপে জয় পায় তারা।শনিবার সকাল থেকেই ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চলে মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি  খেলা। সকালে টস জিতে সিসিএসকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় মোহামেডান। ৮.২ ওভার ম্যাচ গড়ানোর পর বৃষ্টি নামে। ফল ম্যাচ গড়ায় ২৫ ওভারে। পুনরায় ব্যাটিং করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে অলআউট হয় সিসিএস।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন সালমান হোসেন। ৫২ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া অমিত মজুমদার ২৪ ও উত্তম সরকার ২৩ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে ২৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট পান আরিফুল হক। এছাড়া ২৩ রানের বিনিময়ে হাবিবুর রহমান পান ২টি উইকেট।ডিএল পদ্ধতিতে ১৪৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ২.২ ওভার শেষে ১৩ রান করার পর মাঠ আবার বৃষ্টি নামে। ফলে রিজার্ভ ডেতে ম্যাচ গড়ায়। ইজাজ আহমেদ ১২ ও নাঈম ইসলাম ১ রান নিয়ে রোববার সকালে আবার ব্যাটিং করতে নামেন।তবে এদিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেই মেহরাব হোসেনের বোলিং তোপে পরে মোহামেডান। মাত্র ৭ রান করতেই নাঈম ইসলামকে হারায় তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫৩ রানেই শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পরে তারা।সপ্তম উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন মিলনের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন হাবিবুর রহমান। তবে দলীয় ৮০ রানে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হাবিবুর রহমানের বিদায়ে বড় হারের শঙ্কায় পরে ঐতিহ্যবাহী দলটি। ২০ বলে ২০ রান করেন হাবিবুর।এরপর একপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান নাজমুল হোসেন মিলন। তবে ২৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করা ৩২ রান দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। চার ওভার বাকি থাকতে ১১৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা।সিসিএসের পক্ষে ১৪ রানে ৪টি উইকেট পান মেহরাব। ২৭ রানে ৩টি উইকেট নেন সালমান। এছাড়া শাওন গাজী ও সাইফ হাসান ১টি করে উইকেট পান।আরটি/এমআর/এমএস

Advertisement