নতুন দিনের পাল উড়িয়ে আবার এসেছে পয়লা বৈশাখ। পুরোনোকে পেছনে ফেলে নতুন করে শুরু হচ্ছে আরও একটি বছর। সবাই বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে। জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী দম্পতি চন্দনা মজুমদার ও কিরণ চন্দ্র রায়ও নিজস্ব রীতিতে বাংলা বছরের প্রথম দিনটি উদযাপন করেন।
Advertisement
বাংলা বছরের প্রথম দিন কীভাবে উদযাপন করবেন? খাবারের পাতেই বা কী থাকবে? জানতে চাইলে চন্দনা মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় পূজা-অর্চনা করবো। এরপর যবের ছাতু বানাবো। এটা আমরা প্রত্যেক বছর করি। পাশাপাশি পাটশাকের ঝোল রান্না করবো। এই খাবারটি আমার স্বামী (কিরণ চন্দ্র রায়) ভীষণ পছন্দ করেন। আমিও খাই। পাটশাকের ঝোল দিয়ে পান্তা খাওয়ার পর কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বের হবো। সেখান থেকে ফিরে গরম থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য আবারও পান্তা-পাটশাকের ঝোল খাবো।’
কন্যা শতাব্দী রায়ের সঙ্গে কিরণ চন্দ্র রায় ও চন্দনা রায়। ছবি: শিল্পীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
পয়লা বৈশাখে কোন কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জানতে চাইলে চন্দনা মজুমদার বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার একটু অনুষ্ঠানের চাপ কম। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে বৈশাখের রেকর্ডেড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। সেইসঙ্গে ছায়ানটের ভোরের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছি। এরপর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য যাবো। গতকাল সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সরোবরে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ ছিল।’
Advertisement
নতুন বছরে অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে চন্দনা মজুমদার বলেন, ‘সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। নতুন বছরটি সবার জন্য সীমাহীন কল্যাণ বয়ে আনুক। আমরা সবাই সহিংসতা ও হানাহানি ভুলে দেশকে সুন্দর করে গড়ার জন্য কাজ করবো। আসুন আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি।’ কিরণ চন্দ্র রায়ও তার ভক্তদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের সবার সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
চন্দনা মজুমদার মূলত লালনগীতির শিল্পী। পাশাপাশি তিনি রাধারমণ দত্ত, হাসন রাজা, শাহ্ আবদুল করিমসহ আরো অনেক বাউল সাধকের গানের চর্চা করেন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এমএমএফ/আরএমডি/জেআইএম
Advertisement