জাতীয়

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রমনার বটমূল

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রমনার বটমূল

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনার বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বটমূলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী ও সাদা পেশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ গেটে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া মূল সড়ক থেকে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিকেট, ফুট পেট্রোল ও লাইনিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। হকার প্রবেশ করে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য বিশেষ টিম কাজ করছে।

Advertisement

পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে আগমন ঘটেছে নতুন একটি বছরের। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ সোমবার শুরু হলো ১৪৩২ সনের দিন গণনা। নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে রাজধানীর রমনা বটমূলে ভোর থেকেই চলছে বর্ষবরণ উৎসব। আর এ উৎসব ঘিরে রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে রমনার বটমূলে।

উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ও তৎপরতা রয়েছে চোখে পরার মতো। বটমূলের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। প্রবেশপথে বসানো হয়েছে সংক্রিয় মেটাল ডিটেকটিভ চেকিং ব্যবস্থা।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে একাধিক ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। পুলিশের পক্ষ থেকে রয়েছে সশরীরে নজরদারি। পাশাপাশি সিসি টিভি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমেও নজরদারি করা হচ্ছে।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। ২০০১ সালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা; তাতে ১০ জনের প্রাণ যায়। এছাড়াও আহত হন অনেকে। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলে আঘাত হানতে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী সেই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

Advertisement

হামলার পর ওইদিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।

এরপর থেকেই মূলত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনার বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে রমনার বটমূলে শুরু হয় যে কোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধে মহরা। বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে ‘নিরাপত্তা শঙ্কা ও হুমকি নেই’ বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।

কেআর/এমকেআর/জেআইএম