জাতীয়

বর্ষবরণ ঘিরে বাড়তি প্রস্তুতি ফুল ব্যবসায়ীদের, ভালো বিক্রির আশা

বর্ষবরণ ঘিরে বাড়তি প্রস্তুতি ফুল ব্যবসায়ীদের, ভালো বিক্রির আশা

আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা সনের প্রথম দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানান আয়োজন চলছে রমনার বটমূল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে। বাঙালি সংস্কৃতি আর আবহে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় সবচেয়ে বড় এই দুই আয়োজনের মধ্যে শাহবাগের অবস্থান। নতুন বছরের আয়োজন ঘিরে এখানকার ফুল ব্যবসায়ীরাও তাই বাড়তি বিক্রির আশা করছেন।

Advertisement

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই শাহবাগের ফুলের দোকানে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। বিক্রেতারাও বাড়তি বিক্রির আশা করে দোকানে বেশি পরিমাণে ফুল সাজিয়েছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, রমনা পার্কের বটমূলে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনন্দ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজনের সমাগম ঘটে। সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে অনেকে ফুল কিনবেন। বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তাই বাড়তি বিক্রির আশা করছেন তারা।

আরও পড়ুনরমনার বটমূলে সুরের মূর্ছনায় নতুন বছরকে বরণ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা পহেলা বৈশাখ আজ, স্বাগত ১৪৩২ 

শাহবাগের এই ফুলের মার্কেটে প্রতিটি দেশি গোলাপ ২০ থেকে ৩০ টাকা, চায়না গোলাপ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, রজনীগন্ধা ১৫ থেকে ২০ টাকা, গাঁদা ফুলের মালা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলের বেড়ি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

শাহবাগের ফুল বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের দিনে বাড়তি বিক্রি হয়। এই এলাকায় লোকজন বেশি আসে। তারা ফুল কেনেন। আমরা দোকানে আজ বেশি ফুল তুলেছি। আশা করছি ভালো বিক্রি হবে।

আরেক ফুল বিক্রেতা শাহাজান বলেন, এই এলাকায় লোকজন বেশি আসে, ফুল বিক্রিও বেশি হয়। বছরে যে কয়টা উৎসবে ফুল বিক্রি বেশি হয় তার মধ্যে আজকের দিন অন্যতম। আশা আছে ভালো বিক্রি করতে পারবো।

শাহবাগে ফুল কিনতে আসা জুলহাস হুসাইন বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে রমনা পার্কে হাঁটতে আসি। আজকের সকালটা একটু অন্যরকম। বছরের প্রথম দিনে সবাই রমনা পার্কে খুশি মনে হাজির হয়েছেন। বাসায় ছোট বাচ্চাদের জন্য ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ফুল পেলে ওরাও খুশি হবে।

এদিকে সকাল থেকে রমনা পার্ক ও শাহবাগ এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বৈশাখী সাজে হাজির হচ্ছেন অনেকে। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে।

Advertisement

এনএস/ইএ/জেআইএম