রাশিয়ার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সুমিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জন হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১২ এপ্রিল) সকালে এই হামলা চালায় রাশিয়া, যেটিকে চলতি বছরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Advertisement
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া এই ধরনের সন্ত্রাসবাদই চায় ও এভাবেই তারা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাপ ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে জেলেনস্কি লিখেছেন, শুধু নিকৃষ্ট লোকেরাই এমন কাজ করতে পারে। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে এমন নির্মম খেলা করা যায় কেবলমাত্র নিষ্ঠুর মানসিকতা থেকেই। ভিডিওটিতে রাস্তার মাঝে পড়ে থাকা মরদেহ, ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাস ও আগুনে পোড়া গাড়ি দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটি পাম সানডে- যিশু খ্রিষ্টের জেরুজালেমে প্রবেশের পবিত্র দিন। এমন দিনে সাধারণ মানুষ যখন গির্জায় যাচ্ছিল, তখন এই নৃশংসতা চালানো হয়েছে।
Advertisement
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লিমানকো জানান, হামলার সময় নিহতরা কেউ রাস্তায় হাঁটছিলেন, কেউ যানবাহনে ছিলেন, কেউবা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বা ভবনের ভেতর ছিলেন। একটি পবিত্র ধর্মীয় দিবসে ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের তথ্যবিষয়ক নিরাপত্তা কেন্দ্রের প্রধান আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেন, এই হামলা এমন এক সময়ে চালানো হলো যখন মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফর করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাশিয়া এই কথিত কূটনৈতিক উদ্যোগকে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা চালায় রাশিয়া এবং বর্তমানে তারা দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে।
সূত্র: রয়টার্স
Advertisement
এসএএইচ