ভুটানের ঘরোয়া লিগে খেলার জন্য প্রথমে চূড়ান্ত হয়েছিল গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও ডিফেন্ডার মাসুরা পাভীন। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে নাম লেখানোর পর মাসুরা পারভীনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি তাদের কেমন সম্মানী দেবে?
Advertisement
মাসুরার জবাব ছিল, ‘যা দেবে ভালোই। তবে পারিশ্রমিক বা সম্মানী যাই বলি তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি খেলার সুযোগ পাওয়াকে। বিদেশের ক্লাবে খেলার স্বপ্ন ছিল অনেক দিনের। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে সেটাই বড় তৃপ্তি।’
মাসুরার মতো প্রথম বিদেশি লিগ খেলবেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়রও। সব মিলিয়ে ভুটানের লিগে খেলা নিশ্চিত হয়েছে ১০ নারী ফুটবলারের। ৯জন ভুটান চলে গেছেন। ৬ এপ্রিল ভুটান গেছেন পারো এফসির চার ফুটবলার সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া।
রোরবার গেছেন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের মাসুরা পারভীন ও রূপনা চাকমা এবং থিম্পু সিটি এফসির সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। মাসুরাদের ক্লাবে নাম লেখানো কৃষ্ণা রানী সরকারের ওয়ার্ক পারমিট পেতে বিলম্ব হওয়ায় পরে যাবেন।
Advertisement
দলে দলে বাংলাদেশের মেয়েরা খেলতে যাচ্ছেন ভুটানের ঘরোয়া লিগ। অনেকের জানার কৌতুহল ভুটানের লিগ খেলে কেমন পারিশ্রমিক পাবেন টানা দু’বার সাফ জেতা বাংলাদেশ দলের মেয়েরা?
এ বিষয়ে কোনো ফুটবলারই মুখ খুলতে নারাজ। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিন ক্লাবে নাম লেখানো বাংলাদেশের ১০ নারী ফুটবলারের পারিশ্রমিক কাছাকাছি। মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ মার্কিন ডলার চুক্তিতে বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়েছে ভুটানের ক্লাব তিনটি।
ভুটানের লিগে একটি ক্লাব সর্বাধিক ৬জন বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে। পারো এফসি বালাদেশের চার নারী ফুটবলারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও হংকং থেকে ফুটবলার নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবিনাদের ক্লাব এনেছে গোলরক্ষক। বিদেশিসহ ক্লাবটি পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছে।
সাবিনাদের পারো এফসির প্রথম ম্যাচ ২৮ এপ্রিল গেলেফু গার্লস একাডেমির বিপক্ষে ভুটানের লিগে বাংলাদেশের ১০ নারী ফুটবলারের অংশগ্রহণ নতুন রেকর্ডও। আগে কখনো এক সাথে বাংলাদেশের এত নারী ফুটবলার দেশের বাইরে খেলতে যাননি।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/