সুযোগ ছিল চার নম্বরে উঠে আসার। শেষ ম্যাচের আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পয়েন্ট ছিল ১০ ম্যাচে ১৩। জিতলে পয়েন্ট দাঁড়াতো ১৫। তখন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পয়েন্ট সমান হতো। কিন্তু সেটি হলো না।
Advertisement
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) রাউন্ড রবিন পর্বের শেষ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেছে সাইফ হাসান, তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয় ও আকবর আলীর দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
রোববার শেরে বাংলায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৮৯ রানে হারিয়ে উল্টো পঞ্চম স্থানে উঠে এলো অগ্রণী ব্যাংক (পয়েন্ট ১৪)। সমান ১১ ম্যাচে চতুর্থবার পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে থেকে সুপার লিগ শুরু করবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম (৮৭), ইমরানউজ্জামান (৫০) ও তিন নম্বরে নামা অমিত হাসান (৫৯) হাফসেঞ্চুরি হাঁকালে ৬ উইকেটে ৩০৬ রানের বড়সড় পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে অগ্রণী ব্যাংকের পেসার রবিউল হকের বিধ্বংসী বোলিংয়ের মাথা তুলে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের নামী ব্যাটাররা। ওপেনার সাইফ হাসান (৭), তানজিদ তামিম (২৭), সৌম্য (৩২), মাহমুদুল হাসান জয় (৩৩), আফিফ হোসেন ধ্রুব (২৯) ও অধিনায়ক আকবর আলী (৩১) সবাই সেট হয়েও ত্রিশের ঘরে উইকেট দিয়ে আসেন। কারও ব্যাট থেকে লম্বা ইনিংস বেরিয়ে আসেনি। কোনো বড় জুটিও গড়ে ওঠেনি। তাই মাত্র ২১৭ রানেই অলআউট হয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অগ্রণী ব্যাংক: ৫০ ওভারে ৩০৬/৬ (সাদমান ৮৭, ইমরানউজ্জামান ৫০, অমিত হাসান ৫৯, মার্শাল আইয়ুব ৪৮; রেজাউর রহমান রাজা ২/৪৭)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪০.১ ওভেরে ২১৭/১০ (সাইফ হাসান ৭, তানজিদ তামিম ২৭, সৌম্য সরকার ৩২, মাহমুদুল হাসান জয় ৩৩, আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৯, আকবর আলী ৩১, সামিউন বশির ২১; রবিউল হক ৪/৩৯, আরিফ আহমেদ ২/৩১. শহিদুল ২/৪৭)।
Advertisement
ফল: অগ্রণী ব্যাংক ৮৯ রানে জয়ী।
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম