২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর একুশের জন্য একটি কালো দিবস উল্লেখ করে একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম বলেছেন, ওইদিন শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে এস আলম গ্রুপ ইটিভি দখল করে নেয়। আমার অপরাধ ছিল- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বক্তব্য ইটিভিতে সম্প্রচার করা।
Advertisement
রোববার (১৩ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারস্থ একুশে টেলিভিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশের সংবাদভিত্তিক প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (রজতজয়ন্তী) উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আব্দুস সালাম বলেন, আমি প্রায় তিন বছর জেলে ছিলাম। ছাড়া পাওয়ার পরও আমাকে আমরা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সবার ভালোবাসা ও একুশের কর্মীদের অনুরোধে আমি আমার প্রতিষ্ঠানে আবার ফিরে আসি। ফিরে পাই একুশে টেলিভিশন।
একুশেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, একুশে টেলিভিশন এরইমধ্যে সংবাদে এবং অনুষ্ঠানে আবারও তার বস্তুনিষ্ঠতা ও বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনছে। টকশো, অনুসন্ধান, বিনোদনে নতুন নতুন চমক দিচ্ছে। সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সামনে আছে আরও নতুন পরিকল্পনা।
Advertisement
একুশে টেলিভিশন সংগ্রাম ও সাফল্যের একটি নাম উল্লেখ করে দৃঢ়কণ্ঠে তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাকিতা ও সুস্থ বিনোদন নিয়ে একুশে টেলিভিশন এগিয়ে যাবে। কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারবে না।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আব্দুস সালাম। এ সময় তিনি জানান, একুশে টেলিভিশন জনগণের কথা বলেই যাবে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠায় কোনো আপস করবে না ইটিভি।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল পহেলা বৈশাখ ও বাংলাদেশের সংবাদভিত্তিক প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলা নববর্ষ আর ইটিভির জন্মদিন এই দুই মিলে এক জমকালো উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে ইটিভিতে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও ১৪ এপ্রিল সারাদিন কারওয়ান বাজারের পেট্রোবাংলার সামনে দিনব্যাপী মেলা, কনসার্টসহ দেশজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আরও থাকছে বর্ণিল র্যালিও।
একুশের যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল একুশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। ২০০২ সালে ইটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৫ বছর সংগ্রাম করে আমরা ফের অন-এয়ারে আসি ২০০৭ সালে। এরপর আবারও স্বৈরশাসকের রোষানলে পড়ে একুশে টেলিভিশন।
Advertisement
টিটি/এএমএ/জেআইএম