দেশজুড়ে

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদাকে গ্রেফতারের চিন্তা নেই : সেতুমন্ত্রী

বিএনপির কোনো কোনো নেতা বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রাখছেন যে সরকার খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের চক্রান্ত করছে বা গ্রেফতার করতে যাচ্ছে। আমি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যতটুকু জানি, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারের বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের চিন্তা ভাবনা এখন পর্যন্ত আছে বলে আমার জানা নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী শুক্রবার সকালে গাজীপুরে বিআরটিসির বাস ডিপো পরিদর্শন ও অবৈধভাবে লেগুনা তৈরি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান শেষে এসব কথা বলেন।এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সওজের ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি.এ.কে.এম নাহীন রেজা, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল খায়ের মো. সাদ্দাম হোসেন ও ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাখাওয়াৎ হোসেন প্রমুখ।মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পরিবহন এবং রাস্তায় বিশৃঙ্খলা রয়েছে। এগুলো রাতারাতি দূর করা যাবে না। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যার চেয়ে মন মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার। এজন্য আরো ক্যাম্পেইন করতে হবে, আরো সচেতনতামূলক এজেন্ডা হাতে নিতে হবে এবং এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা আজকে এক জায়গায় নিচ্ছি এটা একটা দৃষ্টান্ত। অন্য জায়গা এটা থেকে শিক্ষা নিবে। অবৈধ যান ও অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে বিআরটিএর অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, গাজীপুরে পুরানো মাইক্রোবাস কেটে লেগুনা তৈরি করা হয় এবং এখানে কারখানা আছে। অবৈধভাবে যে লেগুনা তৈরি করা হচ্ছে তা বন্ধ করার জন্য বলেছি এবং অবৈধ যানগুলোকে সিল করতে বলেছি। বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর নগপাড়া এলাকায় বিআরটিসির বাস ডিপোতে অব্যবস্থাপনা ও কর্তব্য অবহেলার কারণে বিআরটিসি চেয়ারম্যানকে ডিপোর ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং ডিপো ম্যানেজারকে শোকজ করতেও বলেন।নারয়নগঞ্জের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় পরিবহণ শ্রমিকদের কানধরে উঠ বস করানোর অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কোথাও কাউকে কান ধরে উঠ বস করাইনি। এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ ব্যাপারে আমি যা বলেছি তা জেনারেল দৃষ্টিকোন থেকে। এটা মূলত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিষয়। তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।আমি যখন বক্তব্য রেখেছি তখন কারো নাম ধরে বলেনি। এখানে বিষয়টা হচ্ছে যে এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। একটা লোক যদি নাস্তিকও হয় তাকে আপনি কান ধরে উঠ বস করাবেন? এটা কোনো নিয়ম না। সে যদি নাস্তিকও হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু কান ধরে উঠ বস করানোর রীতি কোথাও নেই। এটা একেবারে সামন্তবাদী ব্যবস্থার মতো। এটা এখানে চলে না। আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস

Advertisement