জাতীয় নির্বাচনে মাইক ব্যবহারের সময়সীমা দুই ঘণ্টা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে নির্বাচনী প্রচারণায় দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে।
Advertisement
সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতসহ প্রচারণায় পোস্টার না রাখার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
আরও পড়ুন
Advertisement
আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রস্তাবে দেখা গেছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রচারণার সময়কালে কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বেশি ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ২০ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবে না।
ইসি জানায়, কোনো প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম্যের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হবে।
ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করা যাবে না। কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি, কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি দিয়ে কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না। ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে সব ধরনের অনলাইন প্রচারণা থেকে বিরত থাতে হবে।
এমওএস/কেএসআর/এমএস
Advertisement