গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে শাহাবাগ অভিমুখে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ জনগণ।
Advertisement
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এই মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে শাহাবাগ অভিমুখে যান বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনতা। মিছিলের নেতৃত্ব দেয় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
এ সময় সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়াচ্ছিল। এছাড়া ফিলিস্তিন উইল বি ফ্রি, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় মিছিলে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে।
অন্যদিকে, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
Advertisement
আরও পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে তরুণদের বিক্ষোভএর আগে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে শীর্ষ ওলামা মাশায়েখরা বলেন, ইসরায়েল একটি সাপ। আমরা শুধু সাপের লেজ নিয়ে কথা বলছি। কথা বলতে হবে সাপের মাথা নিয়ে। আর সেই মাথা হচ্ছে আমেরিকা। তারাই অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। ইসরায়েলের ব্যবসার ‘লাল বাত্তি’ জ্বালিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে। যেসব দোকানে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করা হয়, প্রয়োজনে সেসব দোকান বয়কট করতে হবে।
তারা প্রধান উপদেষ্টা ড ইউনূসের উদ্দেশে বলেন, আপনি আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। আপনি আমাদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। যত রক্ত লাগে, আমরা দেব। আগে আমাদের পাসপোর্টে এক্সেপ্ট ইসরায়েল ছিল। কিন্তু ভারতের অনুগত আওয়ামী লীগ সরকার সেটি তুলে দিয়েছে।
এর আগে দুপুরে ১টা ১৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুরু হয় জোহরের নামাজ। দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে তারা একযোগে বলে ওঠেন ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’। পরে তারা মসজিদের উত্তর পাদদেশে সমবেত হন। সেখানে সবাই একসঙ্গে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়াতে শুরু করেন এবং স্লোগানে গলা মেলান।
Advertisement
নামাজে অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন শত শত মুসল্লি। আগতদের অনেকের হাতেই ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। মাথায় ছিল ছোট ব্যানার।
এএএম/এএমএ/এমএস