গুমের ঘটনার বিষয়ে তথ্য নিতে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাওয়া তদন্তসংস্থার সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে টাইমবোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল- এমন তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
Advertisement
তিনি বলেন, ওই তদন্ত দলে আমিও ছিলাম। ভূগর্ভস্থ আয়নাঘরের ভেতরে যাতে পরিদর্শন করা না যায়, এজন্য সেখানে দেওয়াল উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব বাধা অতিক্রম করে প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা কাজ করে চলেছে। তবে কোনো ষড়যন্ত্রই বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে দুর্নীতির প্রমাণও দিতে পারবেন না কেউ।
রোববার (৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন-পুরানো মিলিয়ে চার মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন আওয়ামী লীগপন্থি ৭২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ, ১১ জনের জামিন শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশতাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে ট্রাইব্যুনালের বিচার। ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা-মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে আগের ট্রাইব্যুনালের ১৬ মাস সময় লেগেছিল। কিন্তু এরই মধ্যে জুলাই গণহত্যার তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। এসবের যাচাই-বাছাই চলছে। দুইটি মামলার ফরমাল চার্জ চলতি মাসেই দাখিল করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।
Advertisement
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই একটা ট্রাইব্যুনাল যথেষ্ট নয়। এখানে আরও হওয়া উচিত। তবে এ ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রয়েছে। শিগগির দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন চিফ প্রসিকিউটর।
এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস