সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং মার্কিন শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়াই তার এই শুল্কনীতির মূল উদ্দেশ্য।
Advertisement
তবে এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির বিদ্যমান ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভিয়েতনামের শীর্ষ নেতা তো লামের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। সে সময় তারা শুল্ক কমানোর বিষয়ে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো লাম। শুক্রবার দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও সহজ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
গত বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে শুল্কারোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। শত্রু-মিত্র পরোয়া না করে তিনি প্রায় সব দেশের ওপরই শুল্কারোপ করেছেন। সে সময় ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়।
Advertisement
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, এইমাত্র ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো লামের সঙ্গে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন যে, ভিয়েতনাম যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে সক্ষম হয় তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্কের হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি আমাদের দেশের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি তাকে বলেছি যে তার সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে একটি বৈঠকের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
ট্রাম্পের পোস্টের পরপরই ভিয়েতনামের সরকারি পোর্টালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাম মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন এবং তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সময়ে লাম প্রস্তাব দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যেন ভিয়েতনামি রপ্তানি পণ্যের ওপরও একইভাবে শুল্ক হ্রাস করেন।
ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, দুই নেতা একমত হয়েছেন যে তারা শিগগির শুল্ক সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাবেন। এছাড়া ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণও গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
Advertisement
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম অনেক পশ্চিমা কোম্পানির জন্য একটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে। গত বছর ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
টিটিএন