দেশজুড়ে

ঈদ আনন্দে মেতেছে তিস্তা ব্যারাজ

ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে তিস্তা ব্যারাজে নেমেছে মানুষের ঢল। ঈদের নামাজ শেষ হতেই প্রথম দিন থেকে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চতুর্থ দিন পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজে মানুষের সমাগমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠেছে পুরো তিস্তা ব্যারাজ এলাকা।

Advertisement

জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজে ঈদ উপলক্ষে বিনোদনপ্রেমী মানুষের ঢল নামে। ঈদের প্রথম দিনের সকাল থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত ব্যারাজ এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষণীয়। বিভিন্ন স্থান থেকে কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ অটোরিকশায় আবার কেউ মাইক্রোবাসে করে আসছেন। তিস্তা পাড়ে চলছে আনন্দ উল্লাস। ব্যারাজ এলাকায় বসেছে বিভিন্ন দোকানের পসরা।

পর্যটকদের উৎসাহিত করতে তিস্তার বুকে ১২টির বেশি স্পিডবোট চলছে। এগুলো দ্রুত বেগে এ পাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছে পর্যটকদের নিয়ে। স্পিডবোট ও পালতোলা নৌকায় মাত্র ৬০ টাকায় তিস্তার বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা। এতে সববয়সী মানুষ হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠছেন। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তার কূলে। ছিটকে আসা জলরাশির আনন্দে মেতে উঠছে সবাই। প্রতিবছর ঈদ ও নানা উৎসবে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় তিস্তা ব্যারাজ এলাকা।

ঘুরতে আস দর্শনার্থীরা বলেন, ঈদ আনন্দে প্রতি বছর এই তিস্তা ব্যারাজে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। বছরে একবার পরিবার পরিজন নিয়ে এই ব্যারাজে ঘুরতে আসি। অনেক আনন্দ উপভোগ করি। এই জায়গাটি পর্যটন এলাকা ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

Advertisement

দর্শনার্থী আসিফ বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে তিস্তা ব্যারেজে এসেছি। তিস্তা ব্যারাজে স্পিডবোটে উঠে আরও আনন্দ লাগছে।

ব্যারাজ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, ঈদের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন প্রচুর যানজট সৃষ্টি হয়। তারপরও চেষ্টা করেছি ঘুরতে আসা মানুষদের নিরাপত্তা দিতে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, ব্যারাজ এলাকায় ঘুরতে আসা মানুষদের আনসার ও পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে। পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

রবিউল হাসান/এফএ/এএসএম

Advertisement