পশ্চিমবঙ্গে আবারও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকায়। সেখানে একটি বাড়িতে শব্দবাজি বানানোর সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে।
Advertisement
জানা যায়, সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকার একটি বাড়ি। তার কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয়রা দেখতে পান, দাউ দাউ করে আগুনে জ্বলছে বাড়িটিতে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। তার মধ্যেই আরও কয়েকবার বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন>>
পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৭ পশ্চিমবঙ্গে ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬ পশ্চিমবঙ্গে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৪খবর দেওয়া হয় ঢোলাহাট থানায় ও দমকল বাহিনীকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি বাড়ির ভেতরে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। বিস্ফোরণের সময় ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন চার শিশুসহ পরিবারের ১১ সদস্য।
Advertisement
আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে সেই চারজন শিশু পুরো ঝলসে যায়, সঙ্গে আরও তিনজন গুরুতর দগ্ধ হন।
পুলিশ এবং দমকল বাহিনী তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক চার শিশু ও তিনজন মৃত বলে ঘোষণা দেন। মৃতরা হলেন অরবিন্দ বণিক (৬৫), প্রভাবতী বণিক (৪০), সান্তনা বণিক (২৮), অর্ণব বণিক (৯), অনুষ্কা বনিক (৬), অস্মিতা বণিক (৮ মাস), অঙ্কিত বনিক (৬ মাস)।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এখানে বাজি তৈরি হয়। সেগুলো বিক্রির জন্য বাড়িতে রাখে। হয়তো সেই বাজিতেই কোনোভাবে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশকেও খবর দেওয়ার হয়।
পাথরপ্রতিমা বিধায়ক সমীর কুমার জানান, বাজি তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুরো বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। বাড়ির ভেতর আরও কয়েকজন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন রয়েছে।
Advertisement
ঢোলাহাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, আগুন নেভানোর পাশাপাশি চলছে উদ্ধারকাজ। কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও পশ্চিমবঙ্গে একাধিকবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বারবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ডিডি/কেএএ/