জাতীয়

ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন-যাত্রী কম, বেপরোয়া মোটরসাইকেল

ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন-যাত্রী কম, বেপরোয়া মোটরসাইকেল

রাস্তায় সারি সারি বাস নেই। যত্রতত্র হাত উঁচিয়ে বাস থামানোর যাত্রীও নেই। এক বাস আরেক বাসকে ওভারটেক করার যে চিরাচরিত রেষারেষি, তাও চোখে পড়েনি। সিএনজিচালিত অটোরিকশাও খুবই কম। মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারের চলাচলও সীমিত। রাস্তায় এখন রিকশার দাপট। সঙ্গে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল, যার অধিকাংশের চালকই তরুণ-যুবক।

Advertisement

ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন সকালে রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়তে মানুষের চলাচল দেখা গেলেও বেলা বাড়তেই রাস্তা আরও ফাঁকা হয়ে যায়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুড়িল-রামপুরা সড়ক, গুলশান, মহাখালী, বিজয়সরণি, মালিবাগ, মৌচাক এলাকা ঘুরে রাস্তা অনেকটা সুনসান দেখা যায়। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত হওয়ায় পল্টন, হাইকোর্ট এলাকায় মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে।

এদিকে, ঈদের দিন সকালে ঢাকায় যারা গণপরিবহনে চলাচল করছেন, তারা অধিকাংশই বিশেষ প্রয়োজনে বের হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন। অনেকে আবার বাসা থেকে কিছুটা দূরে ঈদের নামাজ পড়ার পর ঘরে ফিরছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: এবার ঈদেও শাহবাগ শিশুপার্কের আনন্দবঞ্চিত শিশুরা

নিকুঞ্জ এলাকায় প্রায় ১১ বছর বসবাস করেন আব্দুল হাই। ঢাকায় ঈদ উদযাপন করলে তিনি জাতীয় ঈদগাহ অথবা বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করেন। এবারও সাত বছর বয়সী ছেলে আকরাম হোসেনকে নিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে যান।

নামাজ শেষে নিকুঞ্জের বাসায় ফেরার পথে বাসে কথা হয় আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে নামাজ পড়লাম। এখন বাসায় ফিরছি। বিকেলে হয়তো পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হবো।’

ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক আশরাফ বলেন, ‘যাত্রী খুব কম। কিন্তু মালিকে কইছে, কিছু পরিবহন রোডে রাখতে হইবো। এজন্য গাড়ি নামাইছি। মাঝে গাড়ি মেরুল বাড্ডায় রেখে নামাজ পড়ছি। রাস্তা ফাঁকা। আগের চেয়ে দ্বিগুণ ট্রিপ দিতে পারছি।’

ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল

Advertisement

ঢাকার রাস্তায় অধিকাংশ সময় ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করে। ফলে মোটরসাইকেল চালকরাও ধীরে চলতে বাধ্য হন। তবে ঈদে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চালকদের অধিকাংশই বয়সে কিশোর-তরুণ-যুবক। একই মোটরসাইকেলে তিনজন করে এবং হেলমেট ছাড়াই দেখা যাচ্ছে চালকদের।

পথচারীরা বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চালানোয় অনেকটা আতঙ্কগ্রস্ত। রাস্তা পারাপারসহ চলাচলে তাদের এখন বেশি ভয় মোটরসাইকেল নিয়ে। মধ্যবাড্ডা এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক নারী। জানতে চাইল তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ মোটরসাইকেল খুব জোরে চালাচ্ছে। রাস্তা পার হতেই ভয় লাগছে। দেখতে দেখতে কাছে চলে আসছে। কিছু ছেলে উল্টা-পাল্টা স্টাইলে গাড়ি চালাচ্ছে।’

এএএইচ/এমএইচআর/এএসএম