ঈদ মানেই খুশি, আনন্দ। পুরো একমাস সিয়াম সাধনার পর পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন বিভিন্ন পদের খাবারের আয়োজন করেন সবাই। সেমাই পায়েশের পাশাপাশি পোলাও, রোস্ট, কোরমা সহ থাকে নানান স্পেশাল রেসিপি। ঈদের দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে খেতে পারেন খাসির শাহী রেজালা।
Advertisement
খাসির রেজালা কমবেশি অনেকেই ঘরে রান্না করেন। কিন্তু বাবুর্চিদের মতো স্বাদ হয় না। আসলে সঠিক উপকরণ, পরিমাপ রান্নার স্বাদ ঠিক রাখে। আসুন খাসির শাহী রেজালার সঠিক ও সহজ রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক-
উপকরণ১. খাসির মাংস ৩ কেজি২. পেঁয়াজ কুচি ১ কেজি৩. আদাবাটা ৩ টেবিল চামচ৪. রসুনবাটা দেড় টেবিল চামচ৫. হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ৬. কাঁচামরিচবাটা ১ টেবিল চামচ৭. মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ৮. টকদই ১ কাপ৯. পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ১০. দারুচিনি ৬ টুকরা১১. এলাচ ৬টি১২. লেবুর রস১৩. আস্ত কাঁচা মরিচ ৬-৭টি১৪. তরল দুধ দেড় কাপ১৫. তেল ১ কাপ১৬. ঘি আধা কাপ১৭. চিনি সামান্য পদ্ধতিঅর্ধেক পেঁয়াজ কুচি করে ও অর্ধেক বেটে নিতে হবে। এরপর কুচি করা পেঁয়াজ থেকে অর্ধেকটা বেরেস্তা করে নিন। মাংসগুলো টুকরা করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর মাংসের সঙ্গে টকদই, পোস্ত দানা বাটা, আদা, রসুন, হলুদ, কাচামরিচ বাটা, মরিচের গুড়া, পেঁয়াজবাটা, চিনি, লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন।
এবার একটি পাত্রে ঘি গরম করে পেয়াজ কুচি, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ভাজুন। মাংস দিয়ে দিন এবং সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। ভালো করে কষানো হয়ে গেলে মাংস সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি ও দুধ (দুই কাপ পানির প্রয়োজন হলে দেড় কাপ দুধ বাকি আধা কাপ পানি দিন) দিয়ে পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ, বেরেস্তা, লেবুর রস দিয়ে নেড়ে দিয়ে ২ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল খাসির মাংসের শাহী রেজালা।
Advertisement
আরও পড়ুন
ইফতারিতে বানাতে পারেন মজাদার ডিমের ডেভিল ঘরেই বানিয়ে নিন লেবাননের রঙ্গিলা ফাতেহকেএসকে/এমএস