জাতীয়

এবার ঈদে সড়ক-নৌ-রেল-আকাশপথে স্বস্তির যাত্রা

এবার ঈদে সড়ক-নৌ-রেল-আকাশপথে স্বস্তির যাত্রা

দেশের আকাশে রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আর কয়েক ঘণ্টা পর দেশজুড়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অর্ধকোটি মানুষ। শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে। মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে বহুগুণ। কোথাও বড় ধরনের যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অধিকাংশ ট্রেনই সময় মেনে ছেড়ে যাচ্ছে। লঞ্চেও সেভাবে ভোগান্তি হচ্ছে না। আকাশপথেও মিলেছে স্বস্তির যাত্রা।

Advertisement

সরকারি হিসাবে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গত দুইদিনে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী। এর মধ্যে শুক্রবার (২৮ মার্চ) ঢাকা ছেড়েছেন ১৮ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ। আর শনিবার (২৯ মার্চ) ঢাকা ছাড়েন ২১ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। আর আজ রোববারের (৩০ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক হিসাব পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আজ অন্তত ১০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।

ঢাকার বাস টার্মিনালের চিত্রমহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ রুটে বাস যাত্রী পরিবহন করে। এবার ঈদ মৌসুমেও এসব রুটে যাতায়াতে যাত্রীদের আগাম টিকিট কিনতে হয়নি। টার্মিনালে গেলেই টিকিট পাচ্ছেন যাত্রীরা। আবার কয়েকটি পরিবহনের টিকিটের জন্য খানিকটা সময় লাইনে দাঁড়াতে হলেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহাখালী টার্মিনালে আসছেন ঘরমুখো মানুষ। তারা নিজ নিজ গন্তব্যের বাস কাউন্টারের সামনে গিয়ে নির্দিষ্ট মূল্যে টিকিট কাটছেন। টিকিট কাটতে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে না। বাসের সব আসনের টিকিট বিক্রি হলে নির্দিষ্ট গন্তব্যের রওনা দিচ্ছে।

Advertisement

পরিবহন চালক এবং যাত্রীরা জানান, সোমবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে টানা নয়দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আবার বেসরকারি চাকরিজীবীরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম। সবাই নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছেন।

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ রুটে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। এ রুটে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করে ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্ট। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরিবহনের ৪২টি বাস নিজ গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।

দেখা যায়, প্রতি ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্টের একটি বাস যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ রুটে নন-এসি বাসে ৩১০ টাকা এবং এসি বাসে ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগেও এ রুটে একই ভাড়া ছিল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। আর ঈদ উপলক্ষে ভাড়া না বাড়ানোয় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা।

সকাল ১০টায় মহাখালীর বাস টার্মিনালে কথা হলে ময়মনসিংহগামী যাত্রী সুজাউল ইসলাম বলেন, ‘এক যুগের বেশি সময় ধরে ঢাকায় চাকরি করি। প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাই। যাওয়ার সময় সড়কে যানজট, বাস টিকিট নিয়ে টেনশন করতে হতো। কিন্তু এবার দেখি ভিন্ন চিত্র। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি ঢাকা শহরে সড়ক ফাঁকা। মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী ভিড় নেই। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট চাইতেই নির্ধারিত মূল্যে টিকিট পেলাম। কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়নি।’

Advertisement

ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার যাত্রীরা স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারছেন। মহাখালীসহ ঢাকার সব টার্মিনালগুলোতে বাসের টিকিট কাটা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। পর্যাপ্ত যাত্রী হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে কোথাও যানজট নেই।

এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ ছিল না। শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায়ও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। রোববার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় নেই। টিকিট নিয়েও নেই কাড়াকাড়ি। যাত্রীদের আনাগোনা থাকলেও তুলনামূলক কম। পরিবহন সংশ্লিষ্টতা জানিয়েছেন, ভোরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে।

রোববার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সময় তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তা জানতে চান। এ সময় অধিকাংশ যাত্রী এবারের যাত্রা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। 

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, এবার ঘরমুখো মানুষ সবাই স্বস্তিতে ঢাকা ছেড়েছেন। গত ২০ বছরে ঈদযাত্রা এত স্বস্তির হয়নি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার স্বস্তির ঈদযাত্রা সম্ভব হয়েছে।

সদরঘাটে যাত্রী চাপ স্বাভাবিকসদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তেমন ভিড় নেই ছিল না। সকাল থেকে যাত্রী অপেক্ষায় ছিল দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলো। তবে সন্ধ্যার দিকে অধিকাংশ লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে ঘাট ছেড়ে গেছে।

লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, এবার ঈদের ছুটিতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে চিরচেনা ভিড় ছিল না। অধিকাংশ লঞ্চে অগ্রিম টিকিটও বিক্রি হয়নি। ঘাটে গিয়েই টিকিট পেয়েছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া যাত্রী চাপ কম থাকায় লঞ্চে কেবিনের ভাড়াও স্বাভাবিক সময়ের মতোই ছিল।

তবে ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়ার লঞ্চগুলোতে বরাবরের মতোই যাত্রী চাহিদা ছিল। এ দুটি গন্তব্যের লঞ্চে সকাল থেকেই যাত্রী ওঠা শুরু হয়েছে। অধিকাংশ লঞ্চ সন্ধ্যার আগেই ঘাট ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকেরা। তারা জানান, ২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের যাত্রী কমেছে। এ অঞ্চলের মানুষ এখন বাসেই কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারেন। তবে ভোলা ও হাতিয়ায় লঞ্চ ছাড়া বিকল্প নেই। তাই বরাবরের মতোই এ দুটি গন্তব্যে চাপ রয়েছে। 

সদরঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় লঞ্চতাসরিফ-১ নামের একটি লঞ্চ। তিন তলার এ লঞ্চের গন্তব্য নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। দেখা যায়, লঞ্চের সামনে হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে যাত্রীদের ডাকছেন লঞ্চ কর্মীরা। যাত্রীরাও কোনো দরদাম করে টিকিট কেটে লঞ্চে উঠছেন। কারো কেবিন দরকার হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে তা ভাড়া নিচ্ছেন। বিকাল পর্যন্ত লঞ্চটিতে ৯টি কেবিন ফাঁকা দেখা গেছে।

দুই হাজার ২২ টাকা দিয়ে পরিবারের চার সদস্যের জন্য ডাবল কেবিন নিয়েছেন সোহেল রানা। আলাপকালে তিনি বলেন, এখন ঈদ মৌসুম হলেও কেবিনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়নি। বরং আগাম বুকিং ছাড়া ঘাটে গিয়ে কেবিন পাওয়া যাবে, এমনটা ধারণাই ছিল না। 

তাসরিফ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, এবার ঈদে টানা নয় দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। দীর্ঘ ছুটি থাকার কারণে বাড়ি ফেরার অনেক সময় পাওয়ায় এক সঙ্গে যাত্রীদের চাপ পড়ছে না। স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারছেন যাত্রীরা। তবে গত কয়েক দিন গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

অন্যদিকে রোববার দুপুর ২টায় সরজমিনে দেখা যায়, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল গিয়ে চিরচেনা সেই চিত্র চোখে পড়েনি। পন্টুনে বাঁধা সারি সারি লঞ্চ। চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রীর কিছুটা চাপ থাকলেও বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা রুটের লঞ্চগুলো অনেকটাই ফাঁকা। যাত্রীদের টিকিট কেনার হিড়িক নেই। বিকালে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিটিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর প্রায় ৩৫ শতাংশ নৌপথে যেতেন। এখন সেটি প্রায় ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। তখন ঢাকা থেকে ৪৩টি নৌপথে ২২৫টির মত লঞ্চ চলাচল করত। এখন প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলে বিভিন্ন পথে।

ঢাকা থেকে সিডিউল মেনে চলছে ট্রেনআজ প্রায় প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ঠিক ৯টা ৫ মিনিট। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো রংপুর এক্সপ্রেসে হুইসেল বেজে উঠলো। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা হুড়মুড় করে ট্রেনের বগিতে উঠতে শুরু করলেন। একেবারে নির্ধারিত সময় ৯টা ১০ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশে স্টেশন ছেড়ে গেলো ট্রেনটি।

শুধু রংপুর এক্সপ্রেস নয়, প্রায় প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে৷ স্টেশনেও তেমন ভিড় নেই৷ ট্রেনে উঠতে চিরাচরিত সেই হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলিও নেই। পাশাপাশি ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের চিত্রও চোখে পড়েনি।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সিরাজুল ইসলাম পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি ৯ বছর ঢাকায় চাকরি করছি। ঈদে সবসময় ট্রেনে যাতায়াত করি। আগে কখনো কমলাপুর স্টেশনে এত সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখিনি। পৌনে ৯টায় স্টেশনে এসেছি৷ এসেই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো পেয়েছি। ব্যাগ-পত্র নিয়ে উঠে বসলাম। এখন দেখছি ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে। একেবারে জাস্ট টাইম। বাসায় যাওয়ার আগেই খুশিতে মন ভরে গেলো।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ঈদযাত্রার সপ্তম দিনে রোববার সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে সব ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি কমিউটার ও লোকাল ট্রেনগুলোও যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। শুধু কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি ১১ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে আজ।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের মতো আজও স্বস্তিতে যাত্রা করছে ঘরমুখো যাত্রীরা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ১৪টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সেগুলোর কোনোটাতেই শিডিউল বিপর্যয় ছিল না। আজ সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে মোট ৫১টি ট্রেন সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তিনি বলেন, এবার ঈদযাত্রায় কোনো টিকিট কালোবাজারি হয়নি এবং তাতে রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তাও জড়ানোর সাহস পায়নি। অথচ ঈদযাত্রার সময় প্রতি বছর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠতো। এতে রেলওয়ের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। এবার সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়েছে। রেলের কেউ এসবে (টিকিট কালোবাজারি) জড়াতে পারেনি। ফলে যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়নি।

আকাশপথে ফ্লাইটও স্বাভাবিকঈদ উপলক্ষে টিকিট চাহিদার শীর্ষে ছিল সৈয়দপুর, যশোর ও রাজশাহী। ঈদের পরের কক্সবাজারের টিকিটের চাপ বেশি। এ জন্য বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৩টি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট আগে থেকেই বেশি ছিল। তারা নতুন করে ফ্লাইট বাড়ায়নি। এছাড়া এয়ার অ্যাস্ট্রা তিনটি ফ্লাইট বাড়িয়েছে। বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা নভোএয়ার কোনো ফ্লাইট বাড়ায়নি। সবগুলো এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটের শতভাগ টিকিট বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছে।

এমএমএ/এমএএইচ/