এবারের ঈদযাত্রায় অন্য চেহারায় দেখা যাচ্ছে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সড়কের মিরসরাই উপজেলার ধুমঘাট থেকে সীতাকুন্ড উপজেলার সিটি গেইট পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোনো ধরনের যানজট নেই। যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকলেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাওয়া ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন।
Advertisement
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কে সব ধরনের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করছে। চলাচল করছে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি-কদমতলী-বারইয়ারহাট রুটের বাসগুলো। সড়কে দিন-রাত দায়িত্ব পালন করছেন হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে।
আঞ্চলিক রুটের বাসগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা শেষে স্থান ত্যাগ করছে। এতে করে সড়কে যানবাহনগুলোর জটলা সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে যাত্রী এবং গাড়িচালকরাও স্বস্তিতে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে পারছেন।
চয়েজ পরিবহনের চালক জানে আলম জানু বলেন, এবার চট্টগ্রাম শহর থেকে বারইয়ারহাট আসতে কোথাও দুই মিনিটের যানজটে পড়তে হয়নি। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে স্ট্যান্ডে চলে আসছি।
Advertisement
চট্টগ্রাম শহর থেকে মিরসরাইয়ে আসা যাত্রী নাজিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশেষ করে সীতাকুণ্ড ও ফৌজদারহাট এলাকায় প্রায় সময় যানজট লেগে থাকতো। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে কিছু শঙ্কায় ছিলাম। তবে কোনো যানজট ছাড়াই বাড়িতে এসে পৌঁছেছি।
ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সবুজ বলেন, প্রাইভেটকারযোগে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ফেনীর ছাগলনাইয়ার সমিতি বাজার চলে এসেছি। রাস্তা অনেকটা ফাঁকা মনে হয়েছে।
এদিকে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইরোধে পুরো রমজান মাস জুড়ে টহলে ছিলেন পুলিশের বিভিন্ন টিম। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের নির্দেশে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ রাতে ডিউটি করেছেন। মাঝে মাঝে তিনি নিজেও ডিউটি করেন।
Advertisement
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, মহাসড়কে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং যানজট নিরসনে প্রায় এক মাস ধরে সারারাত থানা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদে সড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই। মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।
মহাসড়কের পরিস্থিতির বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক রাস্তায় রয়েছি। বারইয়ারহাটে ট্রাফিক পুলিশও কাজ করছে। ঈদ উপলক্ষে আমরা দিনরাত ডিউটি করে যাচ্ছি। কোথাও এখনো পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়নি।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এএসএম