বরিশালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতাসহ ১২ জনের নামে মামলা করেছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাতে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় এ মামলা করেন তিনি।
মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Advertisement
তিনি জানান, সাংবাদিক খালিদ সাইফুল্লাহ রাতে একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মামলার বাদী খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, সাংবাদিকরা কোনো দলের নয়, তারা তাদের কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। সেই কাজে বাধা দেওয়া, মারধর করা, মোটরসাইকেলে আগুন ও ক্যামেরা-মোবাইল ভাংচুরের করার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কেউ পার পাবে না। আমরা আইনগতভাবে যেমন বিষয়টি দেখেছি, তেমনি দলীয়ভাবে বিচারের জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছেও দাবি করেছি।
এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে দিনের বেলায় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জেলার সাংবাদিক মহল। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও তাদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উদ্বেগজনক। দিনের বেলা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বরিশালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি দেখিয়েছে ছাত্রদলের নেতারা। পাশাপাশি আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটিয়ে সন্ত্রাসের হামলাকারীরা সন্ত্রাসের জানান দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এড়াতে পারে না। হামলাকারীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি যে সব পুলিশ সদস্যের সামনে এমন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ১২-১৫ জন স্থানীয় দৈনিকের ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুজ্জামানের ওপর হামলা হয়। তাদের মারধর করাসহ, ক্যামেরা, দুটি মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও নগদ টাকা লুটসহ আদালতের ফটকেই সাংবাদিকদের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
শাওন খান/এমএন/এএসএম