ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। একই সঙ্গে র্যাবের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং মোবাইল ফোর্স কাজ করবে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গৃহীদ পদক্ষেপ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি।
মো. মাহবুব আলম বলেন, আর কয়েকদিন পরই ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আমরা র্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক এই ঈদ নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। প্রথম স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা যেসব জনবহুল শপিংসেন্টার আছে সেসব স্থানে এবং এর আশপাশে আমাদের ২৪টি পেট্রোল টিল টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা অন্য যেসব শপিংসেন্টার আছে যেখানে ছিনতাই বা অজ্ঞানপার্টি বা মলমপার্টি- এ ধরনের চক্রগুলো সক্রিয় সে সমস্ত এলাকায় আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং আমরা যে কোনো ধরনের তথ্য পেলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তৃতীয় পর্যায়ে আমাদের কাছে স্ট্রাইকিং মোবাইল রিজার্ভ থাকছে যেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোনো স্থানে যদি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায় বেশি ভাড়া আদায় করা ও চাঁদাবাজির কোনো সিন্ডিকেট যদি আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি অথবা অন্য কোনো পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স স্বল্প সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে। আপাতত এভাবেই আমাদের নিরাপত্তা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
Advertisement
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, আমরা সবাই যাতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি তার জন্য আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে দুইটা অনুরোধ থাকবে। আপনারা যখন ঢাকা থেকে আপনাদের নিজ গৃহের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তখন ঢাকায় আপনাদের যে আবাসস্থল আছে সেখানে আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটা আপনি নিশ্চিত করে যাবেন। আর দ্বিতীয়ত যেটা সেটা হচ্ছে আপনি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচল করার সময় কারও সাথে সখ্য না গড়ে অথবা অপরিচিত কারও কাছ থেকে যেন আমরা কোনো কিছু না খাই। যেটার কারণে সাধারণত আমরা মলমপার্টি ও অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ি। এই ব্যাপারে যেন আমরা সতর্ক থাকি। এই দুইটা অনুরোধ আমাদের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণের প্রতি থাকবে। আর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ঈদের আগে এবং পরে আমাদের র্যাব এখনো মাঠে আছে আছে এবং সবসময় মাঠে থাকবে।
ঈদে ফাঁকা রাজধানীতে আপনাদের কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত আমাদের নিরাপত্তা বাসস্ট্যান্ড এবং বিপণিবিতানকেন্দ্রিক। যখন ঢাকা শহর আরেকটু ফাঁকা হয়ে যাবে তখন আমাদের আবাসিক এলাকাগুলোতে টহল কার্যক্রম বাড়াবো।
কেআর/বিএ/জিকেএস
Advertisement