গুম-খুন ও গণহত্যার বিচার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ড. মোজাহেরুল হক।
Advertisement
বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মোজাহেরুল হক বলেন, পতিত স্বৈরাচার হাসিনার আমলে সংগঠিত সব গুম-খুনের বিচারকেই এখন সরকারের প্রধান প্রায়োরিটি হতে হবে। আমরা অতিদ্রুত বিচার দাবি করছি, তবে দ্রুততা যেমন জরুরি তেমনি যেনতেন বিচার করতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ কাজের সুযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না থাকলে রাষ্ট্র কার্যকর থাকে না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে সৎ বিচারকের খুবই প্রয়োজন। আগামী দিনে এবি পার্টি ক্ষমতায় এলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তারা ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
Advertisement
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা তুলি বলেন, বিগত ১.৫ যুগেরও বেশি সময় ধরে যে কষ্ট আমরা গুম পরিবারের সদস্যরা ভোগ করছি তা কল্পনাতীত। আমার ভাইকে এখনো ফিরে পাইনি, বিচারও পাইনি। আজকে মহান স্বাধীনতা দিবস, আরেকটা স্বাধীনতা আমরা আগস্টে পেয়েছি। সব গুম-খুনের বিচার স্বচ্ছতার সহিত করতে হবে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ১৬ বছরে কাউকে বাসা থেকে, কাউকে রাস্তা থেকে, অফিস থেকে গুম করে আয়নাঘরে বন্দি করা হয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান একটা দেশ ছিলাম। পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে, বৈষম্য করেছে, যার ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, অনেকে ৭১ আর ২৪ কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ৭১ কে রক্ষা করতেই ২৪ এর সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
আলোচনা ও গণইফতারে এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মামুন রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ, সফিউল বাসার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ।
এএএম/জেডএইচ/