দেশজুড়ে

ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ‘বিদেশে থেকেও’ আসামি ইউপি চেয়ারম্যান

ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ‘বিদেশে থেকেও’ আসামি ইউপি চেয়ারম্যান

পাবনার আমিনপুরে বিদেশে থাকা এক ইউপি চেয়ারম্যানকে ছাত্র আন্দোলনের হামলার ঘটনায় আসামি করে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

গ্রেফতার ওই চেয়ারম্যানের নাম এ এম রফিক উল্লাহ (৬৫)। আমিনপুর থানার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৭ সাল থেকে পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পরিবারের দাবি, প্রতিবন্ধী ছোট সন্তানকে নিয়ে নিয়মিত ভারতে চিকিৎসা করাতে যান রফিক উল্লাহ। গত ৩ আগস্ট সন্তানের চিকিৎসার জন্য ভারতে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে ১৭ আগস্ট দেশে ফেরেন। এরপর চলতি বছরের ১১ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গত ৪ আগস্ট কাশিনাথপুর মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় আসামি করে পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রদের মারামারির ঘটনার দিন ৪ আগস্ট তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলেন। তাকে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

রফিকুল্লাহর পাসপোর্টে দেখা গেছে, তিনি বেশ কিছুদিন মেডিকেল ভিসায় ভারতে যাওয়া-আসা করেন। গত ৩ আগস্ট সর্বশেষ ভারতে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট দেশে ফিরে আসেন। পাসপোর্টে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের সিল রয়েছে। তার কাগজপত্র অনুযায়ী যেদিনের ঘটনায় মামলার আসামি হয়েছেন, তিনি সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন।

রফিক উল্লাহর স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম বলেন, তার স্বামী এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। তিনি বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ফলে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৩ আগস্ট তার স্বামী ভারতে গেলে কীভাবে ৪ আগস্ট তিনি মারামারি করলেন। কীভাবেই বা মামলার আসামি হলেন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। একইসঙ্গে দ্রুত মামলা থেকে তার স্বামীকে মুক্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আমিনপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পারভেজ মিয়া বলেন, মূল মামলার এজাহারে তার নাম নেই। সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। তিনি বিদেশে থাকলে তথ্য প্রমাণাদি দেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার নাম বাদ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

Advertisement

এ বিষয়ে মামলার বাদী রবিন মৃধার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা রবিন মৃধা ৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। মামলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় এক থেকে দেড়শ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।

আলমগীর হোসাইন নাবিল/এমএন/এএসএম