১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পালন হয়েছে গণহত্যা দিবস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এক আলোচনা সভা হয়।
Advertisement
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যাকে উপজীব্য করে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর। কেননা, এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানীদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানীদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে।
Advertisement
উপাচার্য আরও বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতা আছে। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবনের পরিচয় প্রদানকারী একেকটি মাইলফলক। বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং ন্যায্যতার প্রশ্নে প্রতিবারই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। এসব গৌরবময় ইতিহাস আমরা যেন ভুলে না যাই।
স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জগন্নাথ হল গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১টা পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় এক মিনিট ‘ব্লাক-আউট’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
জেডএইচ/
Advertisement