আন্তর্জাতিক

সুদানে মার্কেটে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় শতাধিক নিহত

সুদানে মার্কেটে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় শতাধিক নিহত

সুদানের একটি যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষণ সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, মঙ্গলবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলে একটি বিমান হামলার ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা ঠিক কত সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। খবর এএফপির।

Advertisement

সুদানের প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে উভয় পক্ষের নৃশংসতার তথ্য সংগ্রহকারী স্বেচ্ছাসেবক আইনজীবীদের দল ইমার্জেন্সি লয়ার্স জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে উত্তর দারফুরের টোরা বাজারে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়েছে। ফলে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।

এর আগে সুদানের একটি সবজির বাজারে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত হয়। দেশটির ওমদুরমান এলাকার একটি বাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার ঘটনায় আরও ১৫৮ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই হামলার জন্য আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া গত জানুয়ারিতে সুদানের অবরুদ্ধ এল ফাশেরে চালু থাকা একমাত্র হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় প্রায় ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস রোববার (২৬ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা ওই বর্বরোচিত হামলার জন্য সুদানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত থাকা আধাসামরিক গোষ্ঠী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছেন।

২০২৪ সালের মে মাস থেকে এল ফাশের অবরোধসহ সংঘাতের সময় অসংখ্য নৃশংস ঘটনার জন্য আরএসএফকে দায়ী করা হয়।

চলমান সংঘাতের কারণে শহরটির প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। তারা মাসের পর মাস সহিংসতা ও বঞ্চনা সহ্য করে চলেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: সুদানে হাসপাতালে হামলায় নিহত ৭০ পাকিস্তানে চেক পোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ সৈন্য নিহত পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১২ সেনা নিহত

২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই সংঘাতের ফলে ২৮ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া জাতিগত আফ্রিকান গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

টিটিএন