বাড়ির উঠানজুড়ে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মিলনমেলা। সেখানে একটি বিশেষ পাত্রে রাখা আছে টিকিট। এ বিশেষ টিকিটগুলো থেকে ভাগ্য নির্ধারণ হবে দুই ইমাম ও মুয়াজ্জিনের। বিনা টাকায় তারা পাবেন ওমরাহর সুযোগ। গত তিন বছর ধরে এমনই আয়োজন করে চলছে নড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর পরিবার।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে নড়িয়া পৌরসভার ৭০টি মসজিদের ১২০ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের হাতে ঈদ উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় পাঞ্জাবির কাপড়, পাগড়িসহ নানা উপহার। রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে লোনসিং এলাকায় উপস্থিত হওয়া ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উপহার দেওয়া শেষে তাদের মধ্যে লটারির আয়োজন করা হয়। এরপর সেখান থেকে দুজনকে নির্ধারণ করে ওমরাহর সুযোগ করে দেওয়া হয়।
সামান্য বেতনে যেখানে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সাধারণ জীবনযাপন করেন, সেখানে ওমরাহ করা যেন তাদের জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাদের জন্য এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাবু রাড়ী।
এ বছর ভাগ্য নির্ধারণে ওমরাহ করার সুযোগ পেয়েছেন মকদুম বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মুফতি আল আমিন এবং উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম। বিনামূল্যে ওমরাহ করার এমন সুযোগ পেয়ে খুশি তিনি।
Advertisement
হাফেজ মুফতি আল আমিন বলেন, ‘এ বছর যখন লটারির কথা শুনেছি, তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। আমার মা দোয়া করে বলেছেন, তোমার ইচ্ছে আল্লাহ কবুল করুক। আজ আমার সেই ইচ্ছে আল্লাহ কবুল করেছেন। আমাদের ওমরাহ করার স্বপ্ন যে ব্যক্তির মাধ্যমে কবুল করা হয়েছে, তার জন্য দিল থেকে দোয়া করি।’
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নামের একজন ইমাম বলেন, ‘বাবু রাড়ীর মাধ্যমে আমি গতবার ওমরাহ করে এসেছি। আল্লাহর ঘর দেখে আমার মন খুশি হয়ে গেছে। দোয়া করি তার মাধ্যমে সবসময় যেন এভাবেই ইমামরা ওমরাহ করতে পারেন।’
এ বিষয়ে শহীদুল ইসলাম বাবু রাড়ীর ছেলে ফিদুল রাড়ী বলেন, আত্মতৃপ্তি থেকে এই আয়োজনটি করা হয়। এ বছর দুইজন ইমামকে ওমহরার জন্য পাঠানো হবে। আগামীতেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
বিধান মজুমদার অনি/এসআর/এমএস
Advertisement