খেলাধুলা

‘তামিম একেবারে মৃত্যুর দরজায় ছিলেন’

‘তামিম একেবারে মৃত্যুর দরজায় ছিলেন’

তামিম ইকবালের অবস্থা ভীষণ খারাপ ছিল। জানা গেছে, ২২ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া লেগেছে। ৩ বার ডিসি শক লেগেছে। হার্ট কয়েকবার পুরো কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। তবে স্বস্তির খবর হলো, জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথাও বলেছেন।

Advertisement

তামিমের অবস্থা কেমন ছিল, সেটি বোঝা গেছে মোহামেডানের শীর্ষ কর্তাদের কথায়। তাদের কাছ থেকে যতটুকু জানা গেছে, সারকথা হলো-তামিম যে জায়গায় ছিলেন, সেখানে থেকে ফিরে আসেন খুব কম রোগীই।

এখন অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে বিসিবি পরিচালক ও মোহামেডানের শীর্ষ কর্মকর্তা মাহবুব আনাম জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘৪৮ ঘণ্টা হাসপাতাল থেকে তাকে (তামিমকে) নড়ানো যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তামিম।’

মোহামেডানের আরেক কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘তামিম জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন; এটা না বলে বলতে হয়-একেবারে মৃত্যুর দরজায় ছিলেন আসলে। আল্লাহর রহমতে তিনি সেই জায়গা থেকে ফিরে এসেছেন। হাজারে একজন এমন পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করেন।’

Advertisement

এর আগে সাভারের বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও শাইনপুকুরের মধ্যকার খেলা চলাকালেই হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। টস করে এসে দলীয় ম্যানেজার ও সাবেক ক্রিকেটার সাজ্জাদ আহমেদ শিপনকে তামিম বলেন, আমার খুব খারাপ লাগছে। বুকে ব্যথা করছে।

শিপনসহ সতীর্থ ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা অবস্থা দেখে ধারণা করেন, হয়তো হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কাল বিলম্ব না করে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। নেয়া হয় স্থানীয় কেপিজে (সাবেক ফজিলাতুন্নেছা) হাসপাতালে। সেখানে তাৎক্ষণিক তার এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

একই সঙ্গে হেলিকপ্টারও ডেকে আনা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়ার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় চেষ্টা করেও হেলিকপ্টারে তোলা যায়নি।

অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কেপিজে হাসপাতালের সিসিইউতে নেয়া হয় তামিমকে। এরপর রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। হাসপাতালে রয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনসহ কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং তামিমের পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

এআরবি/এমএমআর/এএসএম