জাতীয়

কমলাপুরে ৩ স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা

কমলাপুরে ৩ স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনে বাড়ি ফেরা শুরু হয়েছে আজ। ভোর ৬টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়।

Advertisement

বিশেষ এই ট্রেনযাত্রা উপলক্ষে বরাবরের মতো তিন স্তরের টিকিট চেকিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্টেশনে প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে টিকিট চেকিং কার্যক্রম কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পার্কিং এরিয়ার পর থেকে প্রথম টিকিট চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে শুরুর দুই একজনকে টিকিট চেক করতে দেখা গেলেও বাকিদের তেমন একটা চেক করতে দেখা যায়নি। তারা বাধাহীনভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন। দুই একজন টিকিটবিহীন যাত্রী পেলে তাদের থেকে ৫০ টাকা হারে জরিমানাসহ গন্তব্য স্টেশনের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় চেকিং করা হচ্ছে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে। এখানে তিনটি সারিতে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। এখানেও দুইজনকে ধরলে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা।

Advertisement

আরও পড়ুন কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, ট্রেনে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ  টালমাটাল সোনার বাজার, ঈদের পর অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আশঙ্কা 

সর্বশেষ চেকিং হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে। এখানে বেশ কয়েকজন টিটিই কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তবে এখানেও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে যাওয়া যাত্রীদের টিকিট কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে না।

শুরুর বছরগুলোতে টিকিটে থাকা এনআইডি নম্বরের সঙ্গে যাত্রীর এনআইডি নম্বর মিলিয়ে দেখা হলেও সেটি ৩০ মিনিটের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কিং এরিয়া থেকে ঢুকতেই হাতের বামে রয়েছে টিকিট কাউন্টার। সেখানে ১-৬ নম্বর কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট। হাতের ডানে চোখে পড়বে পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কন্ট্রোল রুম।

জানতে চাইলে যাত্রী লুৎফর রহমান বলেন, তিন জায়গায় টিকিট চেকিং করছে। আমাকে প্রথম একবার দেখতে চেয়েছিল। হাতে টিকিট আছে দেখে ওটাও আর দেখেনি। লাস্ট চেকিংয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে একসাথে চেক করছিলো, পাশ দিয়ে চলে আসছি। আমাকে আর ডাকে নাই।

Advertisement

আরেক যাত্রী শাওন মিয়া বলেন, গত বছর অনেক কড়াকড়ি ছিল। এবার অনেকটা ঢিলেঢালা। আগের মতো কঠোরতা নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রবেশপথে ছিলাম। চেকিং ভালোভাবে হচ্ছে। যখন যাত্রী কম থাকে তখন লোকবল কম থাকতে পারে। আমরা ভালোভাবে চেকিং করার ব্যবস্থা করেছি।

এনএস/এমআরএম/জিকেএস