গাজার নাসের হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল বারহুমসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনী একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইলকে হত্যা করেছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ মার্চ) সকালে এক হামাস কর্মকর্তা বিবিসিকে এ তথ্য জানান।
স্থানীয়দের দাবি, ওই বিমান হামলায় হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য বারদাউইল এবং তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন। তবে এ নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতির পর মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
Advertisement
তবে হামাস ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
এদিকে ইয়েমেনেও সমানতালে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের দুটি এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রাজধানী সানার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও রয়েছে যেখানে কমপক্ষে একজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৭ এবং গাজায় ৩৪ জন নিহত লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলাগাজায় এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
টিটিএন
Advertisement