প্রবাস

আমিরাতে ৯ প্রতিযোগী জিতলেন তিন লাখ টাকা

আমিরাতে ৯ প্রতিযোগী জিতলেন তিন লাখ টাকা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শেষ হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫। শনিবার সন্ধ্যায় আমিরাতের আজমান উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

সমাপনী পর্বে ২৫ জনের মধ্যে তিনটি আলাদা বিভাগে নয়জন প্রতিযোগী বিজয়ী হন। বিজয়ীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ছোটদের বিভাগের বিজয়ী হয়- আয়শা আক্রাম, উম্মে সাওদা, জাহরা মোবারক; বড়দের বিভাগে- রায়ান মোহাম্মদ, আব্দুল আল নোমান, মিনহাজুল ইসলাম মুর্শেদ এবং হিফজ বিভাগে- নাজিহা নাউফা, আব্দুল কায়ুম, ফাতেমা তাবাসসুম সামিহা বিজয়ী হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহাদাত হোসেন। আমিরাত সংবাদ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইছমাইলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজী শরাফত আলী, মীর কামাল, সালাম খান, রাজা মল্লিক, আবুল বাশার, সৈয়দ আবু আহাদ, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম, সেলিম রেজা, বদরুল চৌধুরী, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, রাশেদুর রহমান চৌধুরী ও নাজমুল করিম প্রমুখ।

অতিথিরা বলেন, দেশের বাইরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের আরবি ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে এ ধরনের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিযোগী এসব শিশু-কিশোরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা সুনাম অর্জন করবে।

Advertisement

আয়োজকরা জানান, প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে রমজানে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা অংশ নিতে পারেন। এ বছর যৌথভাবে এই আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম, আমিরাত সংবাদ, ইয়াকুব সুনিক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ স্পোর্টস ক্লাব। এবারের আসরে ধর্মীয় শিক্ষায় অবদানের জন্য মীর কামালকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আয়োজকরা আরও জানান, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এই প্রতিযোগিতা বেশ ভূমিকা রাখছে। স্বীকৃত বিচারকদের তত্ত্বাবধানে মাসব্যাপী প্রতিযোগীরা ভিন্ন ভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। তারা এতটাই ভালো করেন, চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী নির্ধারণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিযোগী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বাছাই করার পর চূড়ান্ত পর্বে ২৫ জন প্রতিযোগী সুযোগ পান।

এমআরএম/জিকেএস

Advertisement