প্রত্যাশার আইপিএলে এসে ‘বলির পাঠা’ হলেন আরচার

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। জোফরা আরচারের জন্য ব্যাপারটি জাতীয় দল কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, উভয়ক্ষেত্রেই সত্য। ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার ফর্ম ও ভাগ্য পরিবর্তন করতে লক্ষ্যবস্তু করেছিল আইপিএলকে। কিন্তু আইপিএল তো এমনই এক ফ্র্যাঞ্চাইজি, কখন কাকে কোথায় নিয়ে যায়, সেটি বলা বেশ মুশকিল।

২০২৩ আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন আরচার। খেলতে পারেননি ২০২৪ আসর। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০২৫ আসরে যোগ দিয়েছিলেন পুরোনো দল রাজস্থান রয়্যালসে।

নতুন মৌসুমে আজ রোববার নিজেদের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয়ে আইপিএলের নির্মমতা দেখলেন আরচার। বিশ্বের সবচেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে সবচেয়ে দাম কম বোলারদেরই, এটা আর নতুন কী? কিন্তু আরচার আজ যা দেখলেন, সেটি আর কোনো বোলার দেখেননি। ইংলিশ পেসারকে এতটাই অসহায়, অকার্যকর আর হতাশ করেছেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে বোলার কোটার ৪ ওভার পূর্ণ করে কোনো উইকেট ছাড়াই আরচার খরচা করেছেন ৭৬ রান। আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে যা কোনো বোলারের সবচয়ে বেশি রান বিলানোর রেকর্ড। আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া হায়দরাবাদের ব্যাটার ইশান কিশান (৪৭ বলে ১০৬), নিতিশ কুমার রেড্ডি ও হেনরিক ক্লাসেনের আগ্রাসনের মুখে পড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আরচারের বোলিং লাইনআপ।

রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আরচারের বলির পাঠা হওয়ার দিনে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান তুলেছে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জবাবে রাজস্থান নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলতে পেরেছে ৬ উইকেটে ২৪২ রান। এতে ৪৪ রানে জিতেছে হায়দরাবাদ।

এতদিন আইপিএলের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন মোহিত শর্মা। গেল আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে কোনো উইকেট ছাড়াই ৭৩ রান দিয়েছিলেন গুজরাট টাইটানসের এই পেসার।

এমএইচ/