দেশজুড়ে

খুলনার বাজারে পাকিস্তানি পোশাকের দাপট

খুলনার বাজারে পাকিস্তানি পোশাকের দাপট

ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে খুলনার বিপণিবিতানগুলো। অভিজাত বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোর দোকানিরা ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস এবং বাচ্চাদের পোশাকের দোকানে বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু এবার নারীদের ভারতীয় পোশাকের স্থান দখল করেছে পাকিস্তানি থ্রি-পিস।

Advertisement

শনিবার (২২ মার্চ) নগরীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেখা যায়, বড় বড় অভিজাত মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা কম। দাম শুনেই ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ছোট ছোট মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। জিমিচু ফেব্রিকস এবং শারারা, গারারার বিক্রি বেশি হচ্ছে। এ পোশাক কিনতে তরুণীদের বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। এসব পোশাক সর্বনিম্ন তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে পোশাকের দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

বিক্রেতারা বলছেন, ১০ রমজানের পর থেকে বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে। তবে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় এখন বাজারে ক্রেতাদের চাপ বেশি। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনা তত ভালো হচ্ছে।

নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের খুলনা শপিং কমপ্লেক্স সেন্টারের থ্রি-পিসের দোকানের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার ঈদের বাজারে নুরস, মতিস, নিভাইস এবং তাওক্কাল থ্রি-পিসের সমারোহ বেশি। ক্রেতারাও পাকিস্তানি থ্রি-পিস বেশি খুঁজছেন। ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে তিন হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকার থ্রি-পিস রয়েছে।’

Advertisement

আরেক দোকানি শামীম হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য ও ডিজাইনের আধিপত্য এখন আর নেই। পাকিস্তানি পোশাক ভারতীয় পোশাকের স্থান দখল করেছে। পাকিস্তানি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ এবার বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো বর্তমানে ভালো মানের কাপড় তৈরি। এজন্য দেশীয় পণ্যও বাজার দখল করেছে।

নিউমার্কেটের শিশুদের পোশাকের দোকানি আশরাফ আলী জানান, তার দোকানে এক বছর থেকে ১০ বছর বয়সী বাচ্চাদের পোশাক রয়েছে। গাউন, ফ্রক, শার্ট, প্যান্ট এবং পাঞ্জাবির কালেকশান রয়েছে। তবে সব ধরনের পোশাকই বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

রেলওয়ে মার্কেটের পাঞ্জাবি ঘরের বিক্রেতা হায়দার আলী জানান, তার দোকানে পাঞ্জাবির শত শত কালেকশান রয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে কেউ উপহারের জন্য এবং নিজের জন্য পাঞ্জাবি নিচ্ছেন। অনেকে উপহারের জন্য একসঙ্গে ৮-১০টি পর্যন্ত পাঞ্জাবি ক্রয় করছেন। তিনি আরও জানান, সর্বনিম্ন ১২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকার পাঞ্জাবি রয়েছে তার দোকানে।

নিউমার্কেটে আসা শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের জন্য পোশাক খুঁজছি। তবে ক্রেতাদের ভিড় অনেক থাকায় দোকান ঘুরে পোশাক বাছাইয়ে একটু কষ্ট হচ্ছে। এবার পাঞ্জাবির দাম একটু বেশি।

Advertisement

ডাকবাংলো শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের মার্কেট করতে এসেছেন সাদিয়া আফরিন। তিনি বলেন, এবার ভালোমানের থ্রি-পিস বাজারে উঠেছে। তবে বিদেশি পোশাকের দাম একটু বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

পাদুকার দোকানে আসা রিভানা হোসেন বলেন, নতুন পোশাক কিনেছি। এখন একটু ম্যাচিং করে জুতাও কিনবো। বাসার সবাই মিলে এসেছি। হরেক রকমের জুতা উঠেছে। তবে জুতার দাম অনেক বেশি বলে তিনি জানান।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান বলেন, চুরি, ছিনতাই এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

এসআর/জিকেএস