দেশজুড়ে

দর্জিপাড়ায় ব্যস্ততা, নির্ঘুম রাত কাটছে কারিগরদের

দর্জিপাড়ায় ব্যস্ততা, নির্ঘুম রাত কাটছে কারিগরদের

ঈদ সামনে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ার কারিগরদের। ঈদের আগেই কাস্টমারদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেওয়ার তাগিদ রয়েছে। কাস্টমাররা যাতে সময়মতো নতুন পোশাক পান, সেজন্য নির্ঘুম রাত কাটছে কারিগরদের।

Advertisement

রোববার (২৩ মার্চ) বরিশাল নগরীর কাটপট্টি এলাকার শতাধিক টেইলার্স ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

দর্জিরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি নতুন পোশাক সরবরাহ করতে হবে। সেজন্য ২০ রমজানের পর থেকে আর কোনো অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না। তবে রোজার প্রথম দিকে অর্ডার একটু কম থাকলেও ১০ রমজান থেকে বেড়েছে।

বরিশাল নগরীর বটতলা বাজার, বিএম কলেজ, চৌমাথা, কাউনিয়া, সাগরদী মাকের্ট, বাংলাবাজার, পুলিশ লাইন, হাসপাতাল রোড, কালিবাড়ি রোড, বগুড়া রোড, পলাশপুরসহ অনেক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, টেইলার্সগুলোতে কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। ব্যস্ততার কারণে দম ফেরার ফুরসত নেই তাদের।

Advertisement

নগরীর বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা সালমা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদে নতুন পোশাক তো সবাই চায়। রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই নিজের পছন্দমতো কাপড় কিনে পোশাক বানাতে দিয়েছি দর্জির দোকানে।’

কালুশাহ সড়ক এলাকার বাসিন্দা তামান্না বলেন, ‘ঈদ সামনে থ্রিপিস বানাতে টেইলার্সে এসেছি। কারণ টেইলার্স থেকে বানিয়ে নেওয়া পোশাকের ফিটিং ভালো হয়। কোনো সমস্যা হলে নিয়ে এসে আবার বলা যায়।’

ব্যস্ততার কারণে ২০ রমজানের পর থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ রয়েছে বলে জানান বটতলা বাজার এলাকার মুন টেইলার্সের প্রোপাইটর কামাল হোসেন।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখনো প্রতিদিন শত কাস্টমার এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার খুব জোর অনুরোধ জানাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অর্ডার বন্ধ করার পরও কিছু অর্ডার নিয়েছি।’

Advertisement

বাংলাবাজার এলাকার পুষ্পিতা টেইলার্সের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গতবছরের তুলনায় এ বছর পোশাকে বৈচিত্র্য বেশি। ঈদের আগে আমিসহ আরেকজন কাজ করতাম। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে এবার দোকানে মোট পাঁচজন কাজ করতে হচ্ছে। শার্ট, প্যান্ট, থ্রিপিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবি। সময়মতো কাজ শেষ করে কাস্টমারকে দিতে পারলেই আমরা খুশি।’

শাওন খান/এসআর/জেআইএম