সাবেক উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামের নামে ঢাকায় থাকা দুটি ফ্ল্যাটসহ চারটি পৃথক দলিলে থাকা ১৬ দশমিক ৫৩ কাঠা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
একই সঙ্গে তার নামে থাকা ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৬ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত।
রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুলের জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর আফতাবনগরে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের ((দলিল মূল্য) আড়াই কাঠার প্লট, বাড্ডার পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা মূল্যের (দলিল মূল্য) চার কাঠা প্লট, একই স্থানে থাকা ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৫ টাকা মূল্যের (দলিল মূল্য) ৩.৬৮ কাঠা জমি ও নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে থাকা ৫ লাখ টাকা মূল্যের (দলিল মূল্য) ৬ দশমিক ৩৫ কাঠা জমি। এছাড়া জব্দ করা স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর রামপুরায় এক কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা দলিল মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট ও একই ভবনে থাকা গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান।
Advertisement
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি মোল্যা নজরুল ইসলাম একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করা হয়েছে। আসামি তার সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। সেহেতু স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে।
এমআইএন/ইএ/জেআইএম
Advertisement