এবারের ঈদ ও সাপ্তাহিক লম্বা ছুটির সুযোগে দেশের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ ছুটিকে উপভোগ করতে দেশীয় পর্যটকরা ছড়িয়ে পড়বে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। তবে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালির চিত্র একেবারেই বিপরীত। এখানকার রিসোর্ট ও কটেজগুলোর আগাম বুকিং খুবই কম হয়েছে এবার।
Advertisement
আশানুরূপ বুকিং হয়নি বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে এখানে প্রস্তুত আছে ৮৮টি রিসোর্ট ও কটেজ। যেখানে থাকতে পারবেন দুই হাজারের অধিক পর্যটক।
আশানুরূপ বুকিং না হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আগুনে সাজেকে কটেজ পুড়েছে মাত্র ৩৮টি, যা মোট কটেজের এক চতুর্থাংশ। এখনো অবশিষ্ট আছে ৮৮টি রিসোর্ট ও কটেজ। যেখানে দুই হাজারের বেশি পর্যটক থাকতে পারবেন।
নীলাচল ও সাজেক ভিউ পয়েন্ট কটেজের মালিক যুবরাজ জানান, কটেজগুলো এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং হয়নি। আপনারা (সাংবাদিকরা) পজিটিভ নিউজ করে পর্যটকদের জানান, আমাদের ৮৮টি কটেজে দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এখনো। সাজেক পোড়ার খবরে পর্যটকরা বিভ্রান্ত হয়েছে। আসলে বাস্তবতা এখানে ভিন্ন। সাজকের ৭৫ শতাংশ কটেজ অক্ষত আছে।
Advertisement
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়ার সংবাদগুলো এতো বেশি প্রচার হয়েছে যে, মানুষ ভাবছে সাজেকে আর থাকার জায়গা নেই। আসলে এখানকার বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এখনো ৮৮টি রিসোর্ট ও কটেজে ধারণক্ষমতা আছে দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটকের। পাশাপাশি খাবার-দাবার থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত রয়েছে। আমরা আহ্বান করবো পর্যটকরা বিভ্রান্ত না হয়ে সাজেকে বেড়াতে আসুন।
এফএ/জেআইএম