আইন-আদালত

ইসির প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ইসির প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ২০০৯ সালের কয়েকটি ধারা ও বিধি এবং নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

রিটে আইন, বিধি ও গত ১০ মার্চ জারি করা নির্বাচন কমিশেনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার (২৩মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (আইন ও বিচার বিভাগের) সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ নিজে।

Advertisement

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের ৯০এর বি (১) (৩) এক তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি থাকতে হবে এবং একশ উপজেলায় কমিটি থাকতে হবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩৫,৩৬ এবং ৩৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়াও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর পরিপন্থী।

নির্বাচন কমিশনের (ইসির) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির ধারা (ই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ, উহা যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর, অন্যূন এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দপ্তর এবং অন্যূন একশতটি উপজেলা বা, ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দপ্তর এবং উক্তরূপ প্রতি উপজেলায় বা, ক্ষেত্রমতো, থানায় অন্যূন দুইশত ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্ত থাকার সমর্থনে প্রামাণিক দলিল। সেটিও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে রিটে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি রজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এফএইচ/এসএনআর/এমএস

Advertisement