লালমনিরহাটে ধরলা নদীর তীরে পতিত জায়গায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষকেরা। এমন ফলনে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পেরে খুশি তারা। সেখানে মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে পাঁচ থেকে আটটি কুমড়া ধরেছে। কৃষি অফিস থেকে তাদের বিনা মূল্যে বীজ দেওয়া হয়।
Advertisement
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে মিষ্টি কুমড়ার বীজ দেওয়া হয়। মিষ্টি কুমড়ার গাছে ৫-১০টি ফল আসে। বিনা মূল্যে বীজ ও কম খরচে ভালো ফসল পেয়ে খুশি চাষিরা। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন। প্রতিটি কুমড়া কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা।
এ অঞ্চলে মিষ্টি কুমড়া চাষ এনে দিয়েছে নতুন গতি। কৃষকদের জীবন-জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এই সফল পরিবর্তন। জেলায় উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কুমড়া চাষি সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘নদীর কাদা মাটিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করলে বাম্পার ফলন আসে। দুই-এক মাসের মধ্যে কুমড়াগুলো তোলা হবে। তা সংগ্রহ করে বর্ষাকালে বিক্রি করলে আরও বেশি দাম পাওয়া যাবে।’
Advertisement
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ বলছে, লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তর এ বছর জেলায় রবি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে তা ছাড়িয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ হয়েছে।
পাটগ্রাম কৃষি বিভাগ বলছে, আগামীতে নদীর ধারে পতিত জায়গা নির্বাচন করে কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ সরবরাহ করা হবে। সেখানে বড় পরিসরে চাষবাদ করার পরিকল্পনা আছে।
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি উপসহকারী শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছিলাম। এমনকি তাদের বিনা মূল্যে বীজও দিই। এতে প্রতিটি গাছে ৫-১০টি ফল এসেছে। প্রতিটি ৫-৭ কেজি হবে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তারা বাজারে বিক্রি করেও বাড়তি আয় করতে পারবেন।’
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল গফফার বলেন, ‘উপজেলার পতিত জায়গাগুলো চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ধরলা নদীর তীরে মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য বিনা মূল্যে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। আগামীতে বড় পরিসরে করা হবে। এ সাফল্য দেখে অনেক কৃষক মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হবেন।’
Advertisement
রবিউল হাসান/এসইউ/জেআইএম