এসি ছাড়া গরমের সময় বেশ কষ্ট হয়ে যায়। অফিস, বাড়ি সব জায়গায় এসি। এখনই অনেকে এসি ব্যবহার শুরু করেছেন। অনেকে আবার এই বছর পুরোনো এসি বাদ দিয়ে নতুন এসি কেনার পরিকল্পনা করছেন।
Advertisement
এসি কেনার সময় সবার আগে যে বিষয়ে নজর দিতে হয়, তা হচ্ছে এসির টন। এটি নির্ভর করে আপনার ঘরের সাইজ অনুযায়ী। অনেকেই হয়তো এই টনের মানে বোঝেন না। আসলে এই টন এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না। ১ টন এসি মানে হলো ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার, ১.৫ টন মানে হলো ১৮০০০ বিটিইউ/আওয়ার, এভাবে বাড়তে থাকে। এক টনের একটি এসি প্রতি ঘণ্টায় ঘর থেকে ১২০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে।
দুই টন এসি থাকা মানে প্রতি ঘণ্টায় ২৪ হাজার বিটিইউ তাপ বের করে দেওয়া। আরও সোজা করে বললে, এক টন বরফ এক ঘণ্টায় একটা ঘরের তাপমাত্রা যতটা ঠান্ডা করবে, এক টন এসির কার্যক্ষমতাও একই। তার মানে যত বেশি টন মানের এসি; তত বেশি কুলিং ক্ষমতা। এক টন এসি কথাটা তাই এসির ওজন থেকে নয়, বরং আগের এক টন বরফ গলিয়ে বাতাস ঠান্ডা করার রীতি থেকে এসেছে।
তবে আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি কিনবেন, তা নির্ণয়ের সময় ঘরের আকার জানার পাশাপাশি ঘরটি কততম ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ দেয়ালের কোন পাশে লাগে, ঘরে কতজন মানুষ থাকবে, ঘরে কোনো হিটিং জিনিসপত্র যেমন- ওভেন বা আয়রন ব্যবহার করবেন কি না, জানালা, দরজা, পর্দা, সিলিং, ফ্লোর- এসবের হিট কন্ডাকটিভিটি কেমন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
Advertisement
আপনার ঘর যদি ১০০-১২০ স্কয়ার ফুট হয়, সেক্ষেত্রে ১ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৫০ স্কয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি, ১৫০-২৫০ স্কয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২ টন ক্ষমতার এসি। আবার ঘর যদি ২৫১-৪০০ স্কয়ার ফিট বা তার থেকে বেশি আয়তনের হয় তাহলে ২.৫ টন বা তার থেকে বেশি টন এসি কিনতে পারেন।
এছাড়া আপনি এই হিসাব ঠিকভাবে না বুঝলেও সমস্যা নেই। যে কোনো এসির শোরুমে গিয়ে ঘরের মাপ বললে তারাই আপনাকে সঠিক টনের এসি নির্বাচন করে দেবে। আরও পড়ুন
এসময় ডিস্কাউন্টে এসি কিনলে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন এসি কত তাপমাত্রায় চালালে বিদ্যুৎ বিল কমবে জানেন?সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/এমএস
Advertisement