সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ২৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। এতে আরও ৮০-৯০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানি মামলা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে।
নিহতের নাম কবির হোসেন। তিনি উপজেলার সাদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি চাঁদপুরের ফজল আকন্দের ছেলে।
Advertisement
আসামিরা হলেন, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্যসচিব মঞ্জুর রহমান মঞ্জু শিকদার, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু মীর, সদস্যসচিব কালাম শিকদার, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল ও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান সোহাগ শিকদারসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ১৮ মার্চ বিকেলে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের করোনা বাজারে ইফতারের আয়োজন করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী। অপরদিকে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি করিম মোল্লা। কিন্তু রওশন আলী ও তার লোকজন চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে করিম মোল্লার ইফতার আয়োজনে বাধা দেন। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় কবির হোসেনসহ সাতজন আহত হন। পরে ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির হোসেনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত ও তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন- এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি সাইদুল ও সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুর রহমান মঞ্জু শিকদার।
এম এ মালেক/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement