দেশজুড়ে

ভোগান্তি এড়াতে আগেই ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ

ভোগান্তি এড়াতে আগেই ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ

কয়েকদিন পর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। বছর ঘুরে ঈদ আসলে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে শহর ছাড়েন কর্মব্যস্ত মানুষ। তবে প্রতিবার বাড়ি ফেরার পথে দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হিসেবে দাঁড়ায় সড়কের যানজট ও ভোগান্তি। তাই এবছর ভোগান্তি এড়াতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে গ্রামে ছুটে চলেছে অসংখ্য ঘরমুখো মানুষ।

Advertisement

এদিকে হাইওয়ে পুলিশ বলছেন, এবারের ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের কোনো প্রকার ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে না। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে সড়কজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি কোথাও দুর্ঘটনা ঘটে যানবাহন বিকল হলে তাৎক্ষণিক সেটি সরিয়ে নেওয়ার সব ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড় ও কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারগুলোতে ঘুরে যাত্রীর ভিড় চোখে পড়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো যাত্রীদের যথেষ্ট ভিড় রয়েছে। মূলত বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় যানজট এড়িয়ে স্বস্তির যাত্রার লক্ষ্যে আগেভাগে গ্রামে ছুটে চলেছে অসংখ্য মানুষ। যাত্রীর চাপে বাসস্ট্যান্ডের টিকিট কাউন্টার কর্তৃপক্ষের লোকজনকেও ব্যস্ত সময় করতে দেখা যায়।

Advertisement

একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহ জালাল। তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদের আগ মুহূর্তে বাসে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে টিকিট পাওয়া কষ্টের হয়ে যায়। অপরদিকে যানজটের ভোগান্তি তো আছেই। এখন পর্যন্ত আমার অফিস ছুটি দেয়নি। তাই যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে পরিবারের সদস্যদের আগেভাগে পাঠিয়ে দিচ্ছি। ঈদের ছুটি ঘোষণা হলে আমি ধীরে সুস্থে চলে যাবো।

কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়া বলেন, প্রতিবছর আমি ঈদেরদিন সকালে গ্রামে যেতে হয়। চাঁদ রাতের হিসেব শেষে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া লাগে। তবে সবসময় পরিবারকে এক সপ্তাহ আগে পাঠিয়ে দেই। কারণ লম্বা জার্নি স্বস্তির না হলে শারীরিক ভাবে আমার সন্তানরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছেলে-মেয়ে আর তাদের মাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিবো।

দূরপাল্লার কয়েকজন বাস চালক বলেন, মানুষ এখন থেকে গ্রামে যাওয়া শুরু করছেন। এখনো কোথাও কোনো যানজট দেখিনি।

শিমরাইল টিকিট কাউন্টারের সেন্টমার্টিন পরিবহনের ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, যাত্রীরা এখন থেকে টিকিট বুকিং শুরু করেছে। ২৫ রোজার পর হতে ধম ফেলারও সুযোগ মনে হয় পাবো না।

Advertisement

সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার জানান, আমাদের যথেষ্ট গাড়ি রয়েছে। যাত্রীর চাপ আছে। সাম ২-৪ দিন পর আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম জাগো নিউজকে বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় মানুষের ভোগান্তি এরাতে আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স ইতোমধ্যে চলে এসেছে। আমরা আগে একটি টহল টিম সড়কে দিতাম কিন্তু দুটি সবসময়ে কাজ করে যাচ্ছে। দিবারাত্রি আমরা ডিউটি করছি। আশা করছে ভোগান্তি হবে না।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, আমরা ইতোমধ্যে তৎপর হয়ে আছি। টহল টিমও বাড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ অংশে মানুষকে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

মো. আকাশ/আরএইচ/জেআইএম