আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে খনিজ উৎপাদন বাড়াতে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে খনিজ উৎপাদন বাড়াতে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদেশি উৎসের ওপর নির্ভরশীলতাকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট (ডিপিএ)-এর ব্যবহারসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, যা দেশীয় খনিজ উৎপাদনকে সর্বোচ্চ মাত্রায় বাড়াতে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন>>

ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে কানাডায় মার্কিন পণ্য বয়কটের হিড়িক ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে এশিয়ার সংযত প্রতিক্রিয়া, পাল্টা ব্যবস্থা ইউরোপের ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র কি মন্দার দিকে এগোচ্ছে?

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই আদেশ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও বিরল খনিজ উপাদানগুলোর উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করবে।

Advertisement

এর আগে, গত জানুয়ারিতে তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যেখানে শক্তি নিরাপত্তা ও খনিজ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরশীলতার ঝুঁকি তুলে ধরা হয়।

নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র একসময় বিশ্বের বৃহত্তম মূল্যবান খনিজ উৎপাদনকারী দেশ ছিল। কিন্তু কঠোর সরকারি নিয়মকানুন আমাদের খনিজ উৎপাদন ব্যাহত করেছে। ফলে শত্রুভাবাপন্ন বিদেশি শক্তির ওপর আমাদের নির্ভরতা এখন জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও আদেশে কোনো দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে চীন এই খাতে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে নেতৃত্ব দেয়। বিশেষ করে খনিজ প্রক্রিয়াকরণ ও পরিশোধনের ক্ষেত্রে চীনের আধিপত্য রয়েছে।

ট্রাম্প বিদেশে খনিজ উৎস নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে ইউক্রেনের খনিজ মজুত ব্যবহার করার প্রস্তাব এবং কঙ্গোর সঙ্গে আলোচনাধীন একটি চুক্তির কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথাও ট্রাম্প ফের সামনে এনেছেন।

নতুন আদেশে সরকারি সংস্থাগুলোকে খনিজ প্রকল্পের অনুমোদন দ্রুত ও সহজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি জমিতে খনিজ মজুতের সন্ধান ও উত্তোলনকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারি ঋণ ও সহায়তার ব্যবস্থাও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেএএ/