গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। এছাড়া গণমাধ্যমের মালিকানা সমস্যা একটি বড় সমস্যা বলে জানান তিনি।
Advertisement
কমিশন প্রধান বলেন, কারা মালিক হয়েছেন, কী পদ্ধতিতে হয়েছেন তা অজানা। কারণ কোনো প্রকাশ্য, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেলিভিশন ও রেডিওর লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। অনলাইনের নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। সবগুলোর অনুমোদন রাজনৈতিক পরিচয়ে, নেপথ্যে ও যোগসাজশে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। যমুনার বাইরে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুনপ্রেস কাউন্সিল খুব একটা কার্যকর নয়: কামাল আহমেদসাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন বিসিএস নবম গ্রেডের মতো দেওয়ার সুপারিশকামাল আহমেদ বলেন, সরকার পরিবর্তন হলেও মালিক পরিবর্তন হয়নি। নিউজরুমের নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে। সম্পাদকের নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসতে পারে তাদের সঙ্গে মালিকরা যোগাযোগ স্থাপন করছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মালিকদের বিনিয়োগের উৎস কী, সে সম্পর্কে কাউকে জবাব দিতে হয়নি। সেগুলো কী করযোগ্য নাকি কর দেওয়া হয়নি, এরকম কিছুই বলা হয়নি।
টেলিভিশনের মালিকানা যারা পেয়েছেন তাদের অনুমতির আবেদনপত্রে জনস্বার্থ বিষয়ক স্টেটমেন্ট কিছুই ছিল না। যা ছিল শুধু রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও ক্ষমতাসীন দলের প্রচার-প্রচারণার অঙ্গীকার।
কমিশন প্রধান বলেন, গণমাধ্যমের মালিকদের কোনো জবাবদিহি নেই। আমরা গণমাধ্যম থেকে রাজনীতিবিদ ও আমলাদের জবাবদিহি চাই, কিন্তু গণমাধ্যমের জবাবদিহি কোথায়?
তিনি বলেন, একটা পত্রিকা আরেকটা পত্রিকার মালিকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছে। এ রিপোর্ট কি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট নাকি একেবারেই ব্যক্তিগত স্বার্থের, এসব প্রশ্ন আমরা বিবেচনা করে দেখেছি।
Advertisement
এমইউ/ইএ/জেআইএম