অবরুদ্ধ গাজার একমাত্র বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল ও সংলগ্ন একটি মেডিকেল স্কুল উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের হামলা নিষিদ্ধ।
Advertisement
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিস্ফোরণে গাজার মধ্যাঞ্চলের তুর্কি-ফিলিস্তিনি মৈত্রী হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় এর আগেও এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভবনটি ধ্বংস করার পর ঘটনাস্থল থেকে আগুনের বিশাল কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়ছে।
তথাকথিত নেটজারিম করিডোরে কার্যক্রম বাড়ানো ও সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়র পরই ক্যানসার হাসপাতালটি উড়িয়ে দেওয়া হলো।
Advertisement
এদিকে লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের সীমান্তে নিক্ষেপ করা তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে।
ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক খবরে জানিয়েছে, লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা কমপক্ষে পাঁচটি রকেট শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং দুটি লেবাননের ভূখণ্ডের ভেতরে পড়েছে বলে জানানো হয়।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের ইয়াহমোর শহরের উপকণ্ঠে গোলাবর্ষণ করছে।
তবে এসব সংঘাতে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠনও এখন পর্যন্ত ওই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
Advertisement
২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা চালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম