জাতীয়

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল রোধে যৌথ অভিযান শুরু

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল রোধে যৌথ অভিযান শুরু

আসন্ন ঈদে সড়কে শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে লক্কড়-ঝক্কড়, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল রোধে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।

Advertisement

গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আমিনবাজার ও বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যারেজ ও গাড়ির বডি তৈরির প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা।

শনিবার (২২মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে বিআআরটিএ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে।

এসময় গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকার গাড়ির বডি তৈরির প্রতিষ্ঠান মাওয়াহীদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে অংশ নেন মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.রাহাত গাওহারীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

Advertisement

বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আনিসুজ্জামান বলেন, আগামী যে ঈদুল ফিতর আছে সেই উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে এবং ঈদ শেষে ঢাকায় আবার ফিরে আসবে। এই ঈদকে কেন্দ্র করেফিটনেসবিহীন ও লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি যাতে রাস্তায় না নামতে পারে সেজন্য গাড়ির যে গ্যারেজ বা ওয়ার্কশপগুলো আছে আমরা তাদেরকে সচেতনতামূলক একটি মোবাইল কোর্ট করছি। এই সব গ্যারেজ থেকে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী গাড়ি যাতে তারা না নামায়।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচল করলে একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে দীর্ঘ একটা যানজট সৃষ্টি হয় এবং মানুষের জীবন ও হুমকির মুখে পড়ে। এগুলো যাতে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি এই কারণেই ওয়ার্কশপগুলোতে মোবাইল কোট করছি এবং তাদেরকে সতর্ক করছি।

সড়কে যে সব ফিটনেসবিহীন গাড়ি রয়েছে ধরার বিষয়ে পদক্ষেপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে জেল জরিমানা উভয় শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা আছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা যে ওয়ার্কশপে এসেছি এখানে আমরা কয়েকটি গাড়ি যেগুলো ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নামতে পারে সেগুলোর নাম্বার প্লেট নিয়ে আমাদের অনলাইনে টেস্ট করা যায় ফিটনেস আছে কি না বা মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না। আমরা যেগুলো দেখেছি সেগুলোতে মোটামুটি ফিটনেস আছে আর বাকি যেগুলো আছে সেগুলো ঈদের আগে নামবেই না রাস্তায়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

নিশ্চয়তা-অনিশ্চয়তার দোলাচলে ঈদ বাণিজ্য ঈদের বিক্রিতে খুশি নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা

এদিকে, দেশের প্রচলিত আইনে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিআরটিএর তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশে আনফিট গাড়ির সংখ্যা ৬ লাখ ১১ হাজার ১৪১। এর মধ্যে কিছু এখন আর রাস্তায় চলাচল করে না।

বিআরটিএর হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০ হাজার ৮৬৮টি বাস, ১১ হাজার ১৮৫টি মিনিবাস, ৫৭ হাজার ৪১টি ট্রাক, ৭৩ হাজার সাতটি প্রাইভেটকার, ৩০ হাজার ৫৩৮টি মাইক্রোবাস, ৭২ হাজার ১৫৯টি পিকআপ ভ্যান, ৩৯ হাজার ৫৯১টি ট্রাক্টর, ১৪ হাজার ৩৮০টি হিউম্যান হলার, ৩ হাজার ৮১১টি অ্যাম্বুলেন্স, ২ লাখ ৫ হাজার ৬৪৭টি অটোরিকশার ফিটনেস বা হালনাগাদ ফিটনেস সনদ নেই।

এছাড়াও দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৬২ লাখের বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪৬ লাখ মোটরসাইকেল।

কেআর/এসএনআর/এমএস