লাইফস্টাইল

মৌচাক মার্কেটে একদিন

মৌচাক মার্কেটে একদিন

আপনাকে কষ্ট করে হাটতে হবে না এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যান দেখবেন ঠেলাঠেলিতে আপনি পৌঁছে গেছেন গন্তব্যে। কি শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই সত্যি। বলছি রাজধানীর বহুল পরিচিত মৌচাক মার্কেটের কথা। সাধারণ সময়েই এ মার্কেট ভরপুর থাকে। তবে ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে ভিড়।

Advertisement

ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের নজর কাড়তে ‘ঈদ পোশাকের’ পসরা সাজিয়ে বসেছেন রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের দোকানিরা। রকমারি পোশাক কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারাও। অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এখানে দাম কম হওয়ায় প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছেন এই মার্কেটে। শুধু কম দামই নয়, এখানে রয়েছে বাহারি সব পোশাকের সমাহার। আছে জুতা-গহনার রকমারি সব কালেকশন।

এই মার্কেটে পুরুষ ক্রেতার তুলনায় নারীর ক্রেতার সংখ্যা বেশি। নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি হওয়ায় অনেকেই মজা করে এই মার্কেটকে মধু মার্কেট বলে থাকে।

আরও পড়ুন:

Advertisement

সাধ আর সাধ্যের মিলনমেলা মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট ঈদেও নিষ্প্রাণ হল্যান্ড সেন্টার রাজধানীর বাড্ডায় ঈদের কেনাকাটা

অনেকেই শেষ সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। বেশি ভিড় ছিল নারীদের শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে। শুধু মার্কেটেই নয়, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল ফুটপাতের দোকানগুলোতেও।

এক বিক্রেতা বলেন, গরম বাড়ছে, তাই গরমে পরার উপযোগী পোশাকগুলোই তারা দোকানে সাজিয়েছেন। ক্রেতারাও গরমে আরামদায়ক হবে এমন পোশাক কিনছেন। ঈদ সামনে তাই তাদের বিক্রিও বেড়েছে।

আলআমিন নামে নামে এক ক্রেতা বলেন, শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে এলে মার্কেটে প্রচুর ভিড় থাকে। এবার কাজের জন্য আগে কেনাকাটার সুযোগ পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে ভিড়ের মধ্যেই কেনাকাটা করার জন্য আসতে হলো। মানুষের প্রচুর ভিড়। পা ফেলার জায়গা পাচ্ছি না। এখনও কিছু কেনা হয়নি, ঘুরে ঘুরে দেখছি পছন্দ হলেই কিনে নিব।

এবারের ঈদে শপিংমলের সঙ্গে পাল্লা চলছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ম আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো।

Advertisement

মিজান নামের এক ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা বলেন, রোজার শুরু থেকেই বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। এখন অনেক বেড়েছে। অনেক ভিড়। কাস্টমার সামলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে। শপিংমলে দাম বেশি বলে বেশির ভাগ মানুষই আমাদের এখান থেকে কেনাকাটা করছে। আমরা সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করছি। আশা করছি চাঁদ রাতে ভালো বেচাকেনা হবে।

আফিয়া সুলতানা নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজা রেখে অফিস শেষে কেনাকাটা করা অনেক কষ্টের। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। ওদেরতো এখন আনন্দের বয়স। নিজের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করা জরুরি। তাই অফিস থেকে সোজা এখানে চলে এসেছি। অনেক ভিড়। দেখি কি কিনতে পারি।

বিক্রেতাদের মতে এবার সবকিছুর দাম অনেক কম। অন্য বছরের তুলনায় কম দামে পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তাই বেচাকেনাও বেশি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ভিন্ন। তারা বলছে অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের পোশাকের দাম অনেক বেশি। তাই বাধ্য হয়ে দুটোর জায়গায় একটা পোশাক কিনতে হচ্ছে।

জেএস/এমএস